তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক প্রার্থী বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এই পদক্ষেপ সম্ভবত প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকে শক্তিশালী করবে।
তুরস্কে ১৪ মে'র নির্বাচনে মধ্যম-বামপন্থী হোমল্যান্ড পার্টির নেতা মুহাররেম ইনস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চার প্রার্থীর একজন ছিলেন। তুরস্কে পার্লামেন্ট নির্বাচনও একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
ছয়-দলীয় জোটের ভোট ভাগাভাগি করার জন্য ইনসকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা কামাল কিলিকডারোগলুর প্রার্থিতার পেছনে রয়েছে ঐক্যবদ্ধ জোট এবং সম্ভবত সেটি নির্বাচনকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে বাধ্য করবে।
দলের সদর দপ্তরের সামনে ইনস সাংবাদিকদের বলেন, “আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। “আমি আমার দেশের জন্য এটা করছি।”
এরদোয়ান ২০০৩ সাল থেকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরদোয়ান তার ২০ বছরের শাসনামলে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। জরিপে দেখা গিয়েছে কিলিকদারোগলু এরদোগানের চেয়ে সামান্য এগিয়ে ছিলেন যদিও প্রথম রাউন্ডে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট কোনো প্রার্থী পাবেন বলে আশা করেন না।
ইনস যখন প্রথম প্রার্থিতা ঘোষণা করেন তখন তিনি প্রায় ৮শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তবে জনমত জরিপে তার জনপ্রিয়তা প্রায় ২শতাংশ নেমে যায়।
নেশন অ্যালায়েন্সের সদস্যরা ইনসের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
মধ্যম-ডানপন্থী ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা গুলতেকিন ইউসাল বলেন, “ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমাদের জনগণ সামনের দিনগুলোতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে যাতে আমরা প্রথম রাউন্ডেই সফল হতে পারি।
ইনস অবশ্য বলেছেন, ২০২১ সালে তিনি যে হোমল্যান্ড পার্টি গঠন করেছিলেন তারা এখনও পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং তিনি “প্রতিটি পরিবার কাছে” তার দলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন।