গর্ভবতী নারীদের সহজ এবং সস্তা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রদান- যেমন অ্যাসপিরিন প্রদান প্রতি বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নবজাতক ১০ লাখের বেশি শিশুকে মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়া বা জন্মের পর মারা যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। মঙ্গলবার নতুন এক গবেষণায় একথা বলা হয়েছে।
গবেষকদের আন্তর্জাতিক একটি দলের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ শিশু প্রিম্যাচিওর বা কম ওজন নিয়ে জন্মায়। তারা আরও জানায় এই ক্ষেত্রে প্রায় কোনো অগ্রগতিই হচ্ছে না।
গবেষকরা ৮১টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে গর্ভাবস্থা এবং শিশুর জন্মের সময় নারী ও শিশুর যত্ন নেয়ার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একাধিক গবেষণাপত্র অনুসারে, আটটি প্রমাণিত এবং সহজে বাস্তবায়নযোগ্য ব্যবস্থা এই দেশগুলোতে ৫ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মৃত সন্তান প্রসব প্রতিরোধ করতে পারে।
এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, প্রোটিন এবং শক্তির পরিপূরক, কম-ডোজের অ্যাসপিরিন, হরমোন প্রোজেস্টেরন, ধূমপানের ক্ষতি সম্পর্কে শিক্ষা এবং ম্যালেরিয়া, সিফিলিস ও প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়ার চিকিৎসা।
গবেষণায় দেখা গেছে, যদি গর্ভবতী নারীদের জন্য স্টেরয়েডগুলো দেয়া হয় এবং ডাক্তাররা অবিলম্বে নাভির কর্ডটি না কাটেন তবে ৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি নবজাতক শিশুর মৃত্যুও প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
এই পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়নের জন্য আনুমানিক ১১০ কোটি ডলার ব্যয় হবে বলা গবেষকরা জানিয়েছেন।
ফিনল্যান্ডের টেম্পের ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষণা লেখক এবং অধ্যাপক পার অ্যাশর্ন বলেছেন, এটি “অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রোগ্রামগুলো যা পায় তার একটি ভগ্নাংশ।”