সুদানের যুদ্ধরত দুই পক্ষের দূতরা দেশটিতে মানবিক করিডর খোলার ব্যবস্থা করতে সৌদি আরবে রয়েছেন।পক্ষগুলো জোর দিয়ে বলেছে, তারা উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি আনতে মুখোমুখি বসেছেন। কোনো যুদ্ধবিরতির জন্য তারা আলোচনায় বসেননি।
মুল আলোচনার আগে, শনিবার শুরু হয় পূর্বালোচনা। সৌদি আরব ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা সুদানকে ১০ কোটি ডলার মূল্যের মানবিক সহায়তা দেবে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সুদানে লড়াই শুরু হয়। দেশটির সামরিক বাহিনী এবং একটি আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরুর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই, কয়েক হাজার সুদানি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। অনেক বাস্তুচ্যুত সুদানি নাগরিক সীমান্ত সংলগ্ন দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে।
জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ বুরহানের নেতৃত্বে সুদানের সামরিক বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস; যুদ্ধরত এই দুই পক্ষের মধ্যে ১৫ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, তারা কোনো বৈঠকে বসেনি। বেশ কয়েকটি দুর্বল যুদ্ধবিরতি চুক্তি সংঘাতের অবসান ঘটাতে ব্যর্থ হয়। এমনকি যুদ্ধবিরতি চুক্তিগুলো সহিংসতা হ্রাস করতেও ব্যর্থ হয়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা বলেছে, লড়াইয়ের কারণে কমপক্ষে ৩ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে স্থানচ্যুত হয়েছে।এর বাইরে, এক লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, লড়াইয়ের কারণে ৮ লাখের বেশি মানুষ সুদান ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে।
নিরাপত্তার অভাবে বেশিরভাগ ত্রান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বা ব্যাপকভাবে তৎপরতা হ্রাস করা হয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।