কঙ্গোর বন্যায় অন্তত ২০০ জন নিহত, বহু মানুষ নিখোঁজ

কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের গ্রাম নিয়ামুকুবিতে বন্যায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি বাড়ির সামনে দিয়ে লোকজন হেঁটে যাচ্ছে (৬ মে, ২০২৩)।

দক্ষিণ কিভু প্রদেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পূর্ব অংশে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে এবং আরও অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হওয়া অঞ্চল কালেহের প্রশাসক টমাস বাকেঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে শনিবার সংবাদদাতাদের জানান, এ পর্যন্ত ২০৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকিদের খুঁজে পাওয়ার উদ্যোগ এখনো চলছে।

নিয়ামুকুবি গ্রামের শত শত বাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। শনিবার উদ্ধারকর্মী ও দুর্যোগ থেকে জীবিত ফিরে আসা ব্যক্তিরা ধ্বংসস্তুপ খুঁড়ে কাদার ভেতর থেকে আরও মরদেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছিল।

বৃহস্পতিবার লেক কিভুর তটের কাছাকাছি জায়গায় কালেহে অঞ্চলের গ্রামগুলোতে নদীর পানি উপচে বন্যার সূত্রপাত হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ দুর্যোগে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। দুর্যোগ থেকে জীবিত ফিরে আসা এক ব্যক্তি এপিকে জানিয়েছেন, এই আকস্মিক বন্যা সবাইকে বিস্মিত করেছে।

বৃষ্টির কারণে দুর্যোগ আক্রান্ত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে বেশ কিছু মূল সড়কের সংযোগ বিঘ্নিত হয়েছে, যার ফলে ত্রাণ উদ্যোগে বিঘ্ন দেখা দিচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি সোমবার মৃতদের স্মরণে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার দক্ষিণ কিভুর প্রাদেশিক সরকারকে সহায়তা দিতে একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল পাঠাচ্ছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পূর্ব আফ্রিকার অসংখ্য মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। উগান্ডা ও কেনিয়ার কিছু অংশেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এ সপ্তাহের শুরুতে কঙ্গোর সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী দেশ রুয়ান্ডায় বন্যা ও ভূমিধসে ১২৯ জন নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা বাকেঙ্গে এপিকে বলেন, “একই নদী থেকে চতুর্থবারের মতো এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হল। প্রতি ১০ বছরের কম সময়ের ব্যবধানে এ ধরনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।”