লন্ডনে শনিবার ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরে গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজা তৃতীয় চার্লস তার মায়ের সিংহাসন পেলেন। চার্লস শুধু যুক্তরাজ্যেই নয় এক ডজনেরও বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন। অস্ট্রেলিয়ায় রানী এলিজাবেথের মৃত্যুর পর দেশটির সাংবিধানিক ভবিষ্যত নিয়ে পুনরায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
রাজ্যাভিষেক ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে অস্ট্রেলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী মনোভাব আবার জেগে উঠছে। ‘এর বিরুদ্ধে অভিযানকারীরা যুক্তি দেখান যে অস্ট্রেলিয়ায় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র রয়েছে যার অধীনে রাজা তৃতীয় চার্লস রাষ্ট্রের প্রধান। অস্ট্রেলিয়ায় একজন গভর্নর-জেনারেল রাজার প্রতিনিধিত্ব করেন যার ভূমিকাও প্রায় একচেটিয়াভাবে আনুষ্ঠানিক, এবং প্রাচীন। যদিও প্রচারকরা কি ধরণের প্রজাতন্ত্র চান সেটা এখনও স্থির করতে পারেননি। জানুয়ারিতে এক জরিপে দেখা গেছে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকে ভোটারদের মধ্যে প্রজাতন্ত্রের প্রতি সমর্থন ৩৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকার জন্য এই জরিপ চালানো হয়।
১৯৬৬ সালে কিশোর বয়সে চার্লস প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফর করেছিলেন এবং বছরের পর বছর ধরে বেশ কয়েকটি সফরের মাধ্যমে দেশটির সাথে একটি "বিশেষ যোগাযোগ" গড়ে তুলেছেন।
ম্যাট থিসলথওয়েট অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সহকারী মন্ত্রী। লেবার সরকার তার ঐ পদটি প্রজাতন্ত্রের জন্য এই প্রত্যাশায় তৈরি করেছিল যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। তিনি গত মাসে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেছিলেন যে অনেক আগেই এই পরিবর্তনটি হওয়া উচিৎ ছিল।
তিনি বলেন, “গত বছরের সেপ্টেম্বরে রানী মারা যাওয়ার পর আমরা যেন জেগে উঠলাম এবং হঠাৎ করেই আমরা একজন নতুন রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছি। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে শাসন করলেও অস্ট্রেলিয়ার জনগণ তাদের রাষ্ট্রপ্রধান কে হবেন তা বেছে নেয়নি”।
চার্লস কানাডা, পাপুয়া নিউ গিনি এবং নিউজিল্যান্ডসহ এক ডজনেরও বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি সমস্ত কমনওয়েলথের সদস্য যা প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলির একটি গ্রুপের নেতা। ।
অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯ সালে একটি গণভোটে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিপক্ষে ভোট দেয়।
রাজতন্ত্রের সমর্থকরা বিশ্বাস করেন যে এই ব্যবস্থা অস্ট্রেলিয়ার গণতন্ত্রকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত করেছে।