বিশ্বভারতী বনাম অমর্ত্য সেন দ্বন্দ্বে এবার নোবেলজয়ীর বাড়ির সামনে অবস্থানের নির্দেশ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের

অমর্ত্য সেন-এর শান্তিনিকেতনের বাড়িতে উচ্ছেদ নোটিস

গত সপ্তাহেই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "অমর্ত্য সেনের বাড়ি যদি বুলডোজার দিয়ে ভাঙতে আসে তাহলে আমি গিয়ে বসে পড়ব।" তারপর নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার ২ মে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন, অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র সামনে অবস্থানে বসতে হবে।

নোবেলজয়ীর প্রতি সংহতি জানিয়ে, বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে এই অবস্থানে মুখ্যমন্ত্রী মূল দায়িত্ব দিয়েছেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। তাছাড়া দুই শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী-সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষকে সেখানে হাজির করানোর কথা বলেছেন মমতা। আগামী ৭-৮ মে এই অবস্থান হবে। সেখানে বাউল সঙ্গীত থেকে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও চলবে।

জানা গিয়েছে, বীরভূমের তৃণমূল নেতাদেরও বলা হয়েছে সেই অবস্থানে থাকতে।

গত কয়েক মাস ধরেই ১৩ ডেসিমেল জায়গা নিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর সংঘাত চলছে। এ নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কার্যত আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

এর আগে জানুয়ারি মাসে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের রেকর্ড তুলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

অমর্ত্য সেনের দাদু ক্ষিতিমোহন সেন শান্তিনিকেতনের আদি বাসিন্দা। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বাবা আশুতোষ সেন আটের দশকে একটি বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। বিশ্বভারতীর পক্ষে দাবি করা হয়, আশুতোষ সেনকে ১.৩৮ একর নয়, ১.২৫ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। তাই বাকি জমি ফেরত চাওয়া হয়। কিন্তু সরকারি নথিতে দেখা যায়, ১.৩৮ একর জমিই লিজ দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বভারতী যখন নির্মাণ ভাঙার হুঙ্কার দিয়ে ফেলেছে তখন অমর্ত্যের বাড়ির দুয়ারে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে ম্যান মার্কিং করতে চলেছে নবান্ন।