দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন কলোরাডো পার্টিকে আরো ৫ বছর ক্ষমতায় রাখতে, বিপুলভাবে ভোট দিয়েছেন প্যারাগুয়ের নাগরিকরা। তারা তাদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে সমর্থন করে এবং কংগ্রেসের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রদান করে, আবারো কলোরাডো পার্টিকে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে দিলো ।
৪৪ বছর বয়সী সান্তিয়াগো পেনা একজন অর্থনীতিবিদ। রবিবারের নির্বাচরে প্রাথমিক গণনায় ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি।প্রায় সকল ভোট কেন্দ্র থেকে পাওয়া খবরে এই ফল দেখা গেছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, প্যাক্ট ফর নিউ প্যারাগুয়ে নামের একটি বৃহত্তর বিরোধী জোটের প্রার্থী এফ্রেন আলেগ্রে পেয়েছেন ২৭ শতাংশ ভোট। এই ফলের ব্যাবধান বিস্তর। এই বিরোধী জোট, সাত দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা কলোরাডোর শাসন অবসানের চেষ্টায় গঠিত হয়েছিলো।
নির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রার্থী ছিলেন ১৩ জন। প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রর্থীর জয়ী হতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে; এমন বিধান নেই।তাই, যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান তাকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৯ সালে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করে প্যারাগুয়ে। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে পেনা আগামী ১৫ আগস্ট দেশটি গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পর সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
ফলাফল পাওয়া পর, পরাজয় স্বীকার করেন আলেগ্রে। তিনি একজন আইনজীবী এবং কংগ্রেসের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি লিবারেল পার্টির প্রধান। এবার নিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করলেন। তবে, এবার তিনি একটি মিশ্র রাজনৈতিক জোটের প্রতিনিধিত্ব করেন।
পেনার নির্বাচনী প্রচারাভিযান বিঘ্নিত হয় অর্থ প্রবাহের (ক্রেডিট কার্ডসহ বিভিন্ন পদ্ধতি) ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে।কথিত ঘুষ এবং হিজবুল্লাহর সাথে সম্পর্কের অভিযোগে ওয়াশিংটন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। হিজবুল্লাহকে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করে।নিষেধাজ্ঞাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থা থেকে অর্থ সঞ্চালন ব্যাহত করে; এটা তার পার্টির প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ ও ঋণ গ্রহণ বন্ধ করে দেয়।