ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার দামেস্ক সফরে যাচ্ছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে।বলেছে, সিরিয়ার শাসকদের সাথে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির পটভূমিতে, দুদিনের এই সফর “খুব গুরুত্বপূর্ণ”।
আইআরএনএ-এর মতে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে, রাইসি তার দুদিনের সফরে একটি “উচ্চ ক্ষমতার অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলের” নেতৃত্ব দেবেন।
আসাদের প্রধান মিত্র তেহরান, ১২ বছর ধরে চলা সিরিয়ার সংঘাতের সময় তার সরকারকে সমর্থন করে আসছে। তবে, ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কোনো ইরানি প্রেসিডেন্ট সিরিয়া সফরে যাননি।
আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে যুগান্তকারী আপোষরফার কয়েক সপ্তাহ পর, এই গুরুত্বপূর্ণ সফর সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। একসময় বিচ্ছিন্ন সিরিয়ার সরকারের সাথে, আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের অধিকতর ইচ্ছার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করছে রাইসির এই সফর।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি গত বছর তেহরান-দামেস্ক সম্পর্ককে “উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ” বলে প্রশংসা করেন।তিনি বলেছেন, এই সম্পর্ক “যতটা সম্ভব” জোরদার করা উচিত।
যুদ্ধের সময় আসাদ সরকারকে তেহরান আর্থিক এবং সামরিক সহায়তা দিয়েছে। ইরান বলেছে, তারা দামেস্কের আমন্ত্রণে সিরিয়ায় সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে; তবে শুধু উপদেষ্টাদের পাঠানো হয়েছে।
রাশিয়া পাশাপাশি ইরান আসাদকে সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। এই সমর্থনের কারণে, সংঘাতের সময় আসাদ দেশটির ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান।এই সংঘাতে অন্তত ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে; আর, সিরিয়ার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আসাদ আশা করছেন, ধনী উপসাগরীয় রাজতন্ত্র এবং অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।আর এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অবকাঠামো পুনর্গঠনের অর্থায়নে সহায়ক হবে।