সুদান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে আনলেন স্পেশাল অপারেশন্স বাহিনীর সদস্যরা

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ব্যর্থ হলে সুদানের সেনাবাহিনী ও র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এর মধ্যে দেশটির রাজধানীতে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়।সুদানের খার্তুমে ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা যাচ্ছে; ২২ এপ্রিল ২০২৩।

রবিবার দিনের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অপারেশন্স বাহিনী, খার্তুমে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র-দূতাবাস থেকে কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সফলভাবে সরিয়ে এনেছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ অভিযানে সময় লেগেছে ১ ঘণ্টারও কম। এর আগে শনিবার দিনের শেষে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, খার্তুম দূতাবাসের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

ব্লিংকেন বিবৃতিতে জানান, “সুদানের সশস্ত্র বাহিনী ও র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে চলমানে সংঘাতের কারণে সৃষ্ট গুরুতর ও ক্রমশ বাড়তে থাকা নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে” তিনি সাময়িকভাবে দূতাবাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, এই সংঘাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।

শনিবার দিনের শেষে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলাদা করে বিবৃতিতে জানান, কূটনীতিবিদদের সরিয়ে আনার কাজ শেষ হয়েছে। এই অভিযানে যুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। বাইডেন বলেন,“আমি দূতাবাস কর্মীদের অসামান্য অঙ্গীকারবদ্ধতায় গর্বিত, যারা সাহস ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সুদানের জনগণের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব ও সংযোগ তৈরি করেছেন।”

বাইডেন আরো বলেন, “যেসব সেনা সদস্য তাদেরকে সাফল্যের সঙ্গে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছেন, আমি তাদের তুলনাহীন দক্ষতার প্রতি কৃতজ্ঞ।” বাইডেন, “অভিযানের সাফল্যের” নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য, জিবুতি, ইথিওপিয়া ও সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানান।

কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০ জন নাগরিককে দূতাবাস থেকে বিমানে করে ইথিওপিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানান, সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে অবস্থানরত অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদেরও এ অভিযানে সরিয়ে আনা হয়।

তারা জানান, শনিবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের কাছ থেকে চলমান পরিস্থিতির বিশ্লেষণ পাওয়ার পর বাইডেন এই আদেশ দেন। উপদেষ্টারা প্রেসিডেন্টকে জানান, খুব শিগগির এ সংঘাতের অবসান হচ্ছে না।