সুদানের সংঘাতের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট

মাহিন এস-এর দেয়া ছবি; দোহা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের কাছে, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে সুদানের রাজধানী খার্তুমে আকশ; ২১ এপ্রিল ২০২৩।  

সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে একাধিক যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর, সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো।শুক্রবার খার্তুম এবং সুদানের অন্য শহরগুলোতে সপ্তম দিনের মতো লড়াই অব্যাহত রয়েছে।পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ায় সুদানের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা বার্তা দেন রুটো। এ সময় তিনি এই প্রস্তাব দেন।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের আফ্রিকা প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মুরিথি মুতিগা বলেন, এটি উৎসাহব্যঞ্জক যে কেনিয়াসহ প্রতিবেশী দেশগুলো সুদান-সংকট সমাধানে সহায়তা করতে আগ্রহী। তবে, রুটো বা কোনো একজন নেতার পক্ষে একা মধ্যস্ততা করা সম্ভব কি-না, এ বিষয়ে তিনি সন্দিহান।

রুটো বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, একটি শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সুদান সংকটের সমাধান অসম্ভব নয়। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে লড়াইরত দলগুলো, পূর্ব আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট, আইজিএডি এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের এই সপ্তাহে উত্থাপিতলড়াই শেষ করার আহ্বানে সাড়া দেবে। তবে মুতিগা বলেছেন, এ ব্যাপারে বৃহৎ শক্তিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

রুটো বলেন, লড়াই থামানো হবে সদিচ্ছার ইঙ্গিত এবং এটা সংঘাত, নিরাপত্তাহীনতা, অস্থিতিশীলতা এবং মানবিক সংকট অবসানের সূচনা করবে।

মোহাম্মদ হামদান দাগালোর র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসফ) শুক্রবার ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।মোহাম্মদ হামদান দাগালো হামেদতি নামেও পরিচিত। এদিকে, সুদানি সেনাবাহিনীর জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না।

মুতিগা বলেন, পরিস্থি যা-ই হোক না কেনো, দুই পক্ষেরই বিলম্ব না করে শীঘ্রই একটি চুক্তিতে পৌঁছানো জরুরি। কেননা সুদানের জনগণের দুর্দশা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।