ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার শাহরাম ইরানি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ইরানের নৌবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাবমেরিনকে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করার সাথে সাথে জলের নিচ থেকে ভেসে উঠতে বাধ্য করেছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহর এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটনার কথা প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইরানি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিনটি নিমজ্জিত অবস্থায় অগ্রসর হচ্ছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিনটি প্রণালী (হরমুজ) দিয়ে যাওয়ার সময় ইরানি সাবমেরিন ফতেহ এটি সনাক্ত করে এবং এটিকে ভেসে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।এটি আমাদের আঞ্চলিক জলসীমাতেও প্রবেশ করেছিলো; কিন্তু… সতর্ক করার পর এটি তার গতিপথ সংশোধন করে।”
বাহরাইনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহর ইরানের দাবিকে, “অপ-তথ্য” বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
কমান্ডার টিমোথি হকিন্স রয়টার্সকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সাবমেরিন আজ বা সম্প্রতি হরমুজ প্রণালী অতিক্রম করেনি।” তিনি বলেন, “দাবিটি ইরানের আরো অপ-তথ্যের মতোই একটি অপ-তথ্য।এটা আঞ্চলিক সামুদ্র-নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব ফেলে না।”
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী এই মাসের শুরুতে বলেছিলো, পারমাণবিক শক্তিচালিত, গাইডেড মিসাইল উৎক্ষেপণে সক্ষম সাবমেরিন ফ্লোরিডা পঞ্চম নৌবহরকে সহযোগিতা করতে মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছে।
ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর মধ্যে অতীতে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষ হয়েছে। এপ্রিলের শুরুতে ইরানের নৌবাহিনী বলেছিলো, তারা উপসাগরের প্রবেশপথের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পর্যবেক্ষণ বিমানকে চিহ্নিত করে, সতর্ক করেছে। ২০১৯ সালে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করে ইরান। তখন বলেছিলো, এটি দক্ষিণ ইরানের ওপর দিয়ে উড়ছিলো।