বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ চিত্র প্রদর্শনী বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহকারী মুখপাত্র ফারহান হক ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "আমাদের সকল প্রদর্শনীই চলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এবং এই প্রদর্শনীয়ও তাই ছিল।"
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির পর এবারই প্রথম জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ১৯৭১ সালে গণহত্যার শিকার শহীদদের সম্মানে এ ধরনের চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। (বাংলাদেশের) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ২৯ মার্চ প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী ১৯৭১ সালের গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঐতিহাসিক এই আয়োজন সফল করতে সকল সহযোগিতা প্রদানের জন্য জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
বিবৃতি আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানামুখী প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ
৪ এপ্রিল পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়:
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তাদের অভিযোগের পর জাতিসংঘ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে আয়োজিত একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অবিলম্বে বন্ধ করে দিয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ওই ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করে। পাকিস্তানের অভিযোগ, ওই ছবির প্রদর্শনীতে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের এক তরফা ও বিতর্কিত বর্ণনা ছিল।
গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, "তথাকথিত ছবির প্রদর্শনীটি জাতিসংঘে ১৯৭১ সালের ঘটনাকে একতরফা ও বিতর্কিত বর্ণনা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছিল।"
তিনি আরও বলেন, "ইতিহাসের ভুল উপস্থাপনা এবং জাতিসংঘের নিয়ম না মেনে আয়োজন করার কারণে চিত্র প্রদর্শনীটি অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। আমরা এ ব্যাপারে জাতিসংঘের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করি।"
তিনি বলেন "আমরা বিশ্বাস করি যে, ১৯৭১ সালের ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলো ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তৎকালীন নেতৃত্বের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। পাকিস্তান বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে আন্তরিক”’।
এই প্রদর্শনী প্রসঙ্গে আরও তথ্য জানার জন্য ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে বারবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।