মধ্য মিয়ানমারে বিমান হামলায় বহু মানুষ নিহত

মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের প্রত্যন্ত কান্তবালু শহরে পা জি গি গ্রামে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার পর, একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি; ১১ এপ্রিল ২০২৩।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এবং এএফপির সাথে যোগাযোগ করা একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, মঙ্গলবার অভ্যুত্থান-আক্রান্ত মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে বিমান হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে।

২০২১ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। দেশটির অর্থনীতিও বিপর্যস্ত হয়েছে।

সাগাইং অঞ্চলের প্রত্যন্ত কান্তবালু শহরে মঙ্গলবার ভোরের বিমান হামলায় কত জন নিহত হয়েছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।

বিবিসি বার্মিজ, দ্য ইরাবতী এবং রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে অন্তত ৫০ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে অবস্থিত সাগাইং অঞ্চলে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। কয়েক মাস ধরে সেখানে তীব্র লড়াই চলছে।

মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) এই বিমান হামলাকে “জঘন্য কাজ” বলে নিন্দা জানিয়েছে। এনইউজি একটি ছায়া সরকার; এতে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চির দলের সাবেক আইন প্রণেতাদের প্রভাব বেশি।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোলিন হেইজারের একজন মুখপাত্র বলেন, সংস্থাগুলো প্রতিবেদনের তথ্য যাচাই করার চেষ্টা করছে।

এএফপি মন্তব্যের জন্য জান্তার মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে।

সামরিক বাহিনী গত মাসে জরুরি অবস্থার মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।আর আগস্টে প্রতিশ্রুত নির্বাচন স্থগিত করেছে। নির্বাচন স্থগিত করার কারণ হলো, ভোটের জন্য দেশের ওপর পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি তারা।

স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর মতে, অভ্যুত্থানের পর থেকে ৩ হাজার ২০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা এবং ২১ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।