সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেনের সাথে বৈঠক করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনের বৈঠক।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বৈঠকের পর, এক একান্ত সাক্ষাৎকারের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান। তিনি বলেন, সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেনের আমন্ত্রণেই তার এই যুক্তরাষ্ট্র সফর।

দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ও গোটা বিশ্বেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের একটি শক্তিশালী উদাহরণ হতে পারে, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও সারা বিশ্ব নজর রাখছে বলে বলেছেন সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন। স্টেট ডিপার্মেন্টের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে (ব্রিফিংয়ে) তিনি আজ সোমবার একথা বলেন। সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে যাবার মাধ্যমে, দুদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন।

দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে মহানুভবতা ও উদারতা দেখিয়ে চলেছে, ব্লিঙ্কেন তারও প্রশংসা করেন।

অপরদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাঠানো চিঠিতে, আমেরিকা ও বাংলাদেশ একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করেছে সেটি উল্লেখ করেছেন বলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনাও প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি দিয়েছেন, যা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য, সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেনের হাতে তিনি তুলে দিবেন বলে জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্কে আরও জোরদার করার লক্ষ্যেই তার এ সফর।

ওদিকে ৬ এপ্রিল রাজধানীতে একটি কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, "যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিনামূল্যে ১০ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। এমনকি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পরে তারা আমাদের সবচেয়ে বেশি সমর্থন করেছে। অন্যান্য দেশও আমাদের সাহায্য করেছে। তার (যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সঙ্গে দেখা হলে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো।"

ঐদিন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, "আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমেরিকাও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আমাদের এক্ষেত্রে দ্বিমত নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।"