বাইডেন-ইয়ুন বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

পোল্যান্ডের নৌবাহিনী গডিনিয়া বন্দরে একজন কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ার থান্ডার কে-নাইন হাউইটজার প্যাকেটমুক্ত করেছেন; (ফাইল ফটো), ৬ ডিসেম্বর ২০২২।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে, দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়। যুক্তরাষ্ট্র হলো দক্ষিণ কোরিয়ার দীর্ঘ দিনের মিত্র।

অভিযোগগুলো রবিবার সামনে আসে, যখন নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। নিউ ইয়র্ক টাইমস, যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফাঁস হওয়া স্মারক (মেমো) থেকে নেয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা হবে কি-না, সে সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনার বিশদ বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।


স্মারকটি যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সামরিক এবং গোয়েন্দা নথির একটি বৃহত্তর ব্যাচের অংশ; যা রহস্যজনকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই নথি ফাঁস হওয়ার ঘটনা, ওয়াশিংটন এবং এর অনেক মিত্র দেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং জাতীয় নিরাপত্তার দুর্বলতাকে নির্দেশ করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের জন্য এটি একটি বেকায়দা পরিস্থিতি। তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠতর ভাবে যুক্ত করেছেন এবং এই মাসের শেষের দিকে তিনি হোয়াইট হাউজে এক বিরল রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে দক্ষিণ কোরিয়ার সার্বভৌমত্বের “স্পষ্ট লঙ্ঘন” বলে নিন্দা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে “স্পষ্ট বক্তব্য” দাবি করেছে। নিশ্চয়তা চেয়েছে যে, এই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।

বিবৃতিতে ইউনকে শিথিল নিরাপত্তা নীতি এবং তত্ত্বাবধানে ঘাটতির জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। আর, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়কে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির পাশের একটি স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্যও বিবৃতিতে তাকে দায়ী করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস দৃঢ় ও অটুট রয়েছে। তবে দুই পক্ষ এ বিষয়ে “প্রয়োজনীয় আলাপ-আলোচনা” করবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা অবশ্য ফাঁস হওয়া নথির কোনো তথ্যই অস্বীকার করেননি বা নথিগুলোকে ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ তুলেননি।