কর্মকর্তারা জানান,ইরান সমর্থনপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা করতে, রবিবার ইয়েমেনের রাজধানীতে পৌঁছেছেন সৌদি আরবের কর্মকর্তারা।ইয়েমেনে ৯ বছর ধরে চলা সংঘাত অবসানের পথ খুঁজে পাওয়ার আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে তারা ইয়েমেনে যান।
সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ইয়েমেনে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মেদ বিন সাইদ আল-জাবের। তিনি হুতিদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কাউন্সিলের প্রধান মাহদি আল-মাশাতের সঙ্গে আলোচনা করবেন।এই সংগঠন ইয়েমেনের হুতি-বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো পরিচালনা করে।হুতি-পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সাবা নিউজ এজেন্সি এ কথা জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থাটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে আরো জানায়, ওমানের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার সানা এসে পৌঁছেছে।ওমানের প্রতিনিধিদলও আলোচনায় যোগ দেবে।
এ বৈঠকের বিষয়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইয়েমেনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির কার্যালয়ের কাছে মন্তব্য চাওয়া হলে, তারা এই অনুরোধে তাৎক্ষনিকভাবে সাড়া দেয়নি।
রাজধানী সানায় অনুষ্ঠেয় আলোচনার নেপথ্যে রয়েছে ওমানের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, যার উদ্দেশ্য হলো ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটানো।২০১৪ সালে হুতি বিদ্রোহীরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে সানা ও ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয়। ইয়েমেনর তৎকালীন সরকার প্রথমে দক্ষিণে পালিয়ে যায়; পরবর্তীতে সৌদি আরবে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেয়।
হুতিদের এই পদক্ষেপের কয়েক মাস পর, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন মিত্র-জোট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুরু করে।এই সংঘাত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে আঞ্চলিক ছায়যুদ্ধে (প্রক্সি ওয়ার)রূপান্তরিত হয়েছে।
ওমানের মধ্যস্থতায় আয়োজিত আলোচনার উদ্দেশ্য হলো উভয় পক্ষকে পূর্ণ-মাত্রার সংঘাত থেকে বিরত রাখা। ৭ বছরের টানাপড়েনের পর, সম্প্রতি সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়ে একমত হওয়াতে, এ উদ্যোগ গতি পায়। হুতিদের মূল বিদেশী পৃষ্ঠপোষক ইরান জানিয়েছে, সৌদি আরবের সঙ্গে তাদের চুক্তি, ইয়েমেনের সংঘাত নিরসনে সহায়তা করবে।