বেইজিং-এ ইরানের কূটনীতিকের সাথে বিরল বৈঠকে ফরাসি শীর্ষ কূটনীতিক

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথলিন কলোনা (বামে) বেইজিং-এর দিয়াওইউতাই স্টেট গেস্টহাউজে একটি সভায় যোগ দিচ্ছেন। ৫ এপ্রিল, ২০২৩।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিরল এক বৈঠক করেছেন। সেখানে তিনি ইরানে “যথেচ্ছভাবে আটক” ফরাসি নাগরিকদের মুক্তি দেয়ার জন্য তেহরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রক একথা জানায়।

চীনে রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সাথে সফররত ক্যাথরিন কোলোনা বেইজিং-এ হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিইয়ানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

আমির-আব্দল্লোহিয়ান বেইজিং-এ ইরান এবং তার এক সময়ের চির আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরবের মধ্যকার পৃথক পুনর্মিলন আলোচনায় ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

চীন মধ্যপ্রাচ্যে বেইজিং-এর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের চিহ্ন হিসেবে গত মাসে পুনর্মিলনে মধ্যস্থতা করেছিল।

ফরাসি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোলোনা “ইরানে নির্বিচারে আটক ছয়জন ফরাসি নাগরিকের অবিলম্বে মুক্তির জন্য তার আশু দাবি পুনরায় ব্যক্ত করেছেন।”

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং আরও বলেছে যে, “বৈঠকের সময় কিছু কনস্যুলার সমস্যাও উত্থাপিত হয়েছিল।” তারা আরও নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি।

ইরান এবং ইউরোপীয় পরাশক্তির মধ্যে যোগাযোগ- ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়টি সহ সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ আন্দোলনের ওপর তেহরানের মারাত্মক দমন-পীড়নের কারণে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

নারীদের জন্য ইরানের যে কঠোর পোশাক বিধি তা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইরানি কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির হেফাজতে মৃত্যুর পর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ইরানের বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিক্ষোভ-সংক্রান্ত মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যেটিকে সক্রিয়বাদীরা “লোক দেখানো বিচার ” হিসেবে অভিহিত করেন।

নরওয়ে ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) অনুসারে, বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৫৩৭ জন নিহত হয়েছে।