ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে চীন সফরের শেষ দিনে দক্ষিণ চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী স্বাগত জানায়। সেখানে তিনি বারবার ইউক্রেন সংঘাতের অবসানে সহায়তা করার জন্য তার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চাপ দিয়েছেন।
বুধবার রাজধানী বেইজিংয়ে ম্যাক্রোঁ তার সফর শুরু করেন। তিনি বলেছেন যে তিনি প্রতিবেশী দেশটিতে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করা থেকে চীনকে নিরুৎসাহিত করতে চাইছেন।
তিনি শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজুতে গিয়েছিলেন, যেখানে এই ফরাসি নেতার সাথে সেলফি বা হাই-ফাইভের জন্য শত শত ছাত্র এবং ভক্তকে ভিড় জমাতে দেখা গেছে। যা কিনা চীনের নিজস্ব স্থবির রাজনৈতিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত।
ম্যাক্রোঁ, যার নাম ভিড়ের মধ্যে কেউ কেউ উচ্চারণ করছিল, তিনি ক্যাম্পাসের জিমে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট শির সাথে একটি প্রারম্ভিক ডিনারে যোগ দেন এবং নিজ দেশে ফিরে যাবার আগে চীনা বিনিয়োগকারীদের সাথে বৈঠক করেন।
২০১৯ সালের পরে এই প্রথম ম্যাক্রোঁর এ বছরের এই চীন সফরে ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার বিরোধ প্রাধান্য পেয়েছে।
তিনি গুয়াংজুতে ছাত্রদের বলেন যে এই যুদ্ধ "আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।"
তিনি তাদের বলেন, "রাশিয়া, এমন একটি দেশ যেটি তার প্রতিবেশীকে উপনিবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিয়মকে সম্মান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
তিনি আরো বলেন, "আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে, এবং চীন ও ফ্রান্সের দায়িত্ব এটিকে সংরক্ষণ করা এবং একই সাথে ২১ শতকের বাস্তবতার আলোকে এটিকে নতুন করে উদ্ভাবন করা।”
ম্যাক্রোঁ তাদের একটি "সমালোচনামূলক মনোভাব" গ্রহণ করার জন্যও আহ্বান জানান যা তাদের "মুক্ত, যুক্তিবাদী ব্যক্তি" হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। এ বিষয়টি অনমনীয়, রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সাথে সম্পূর্ণ বিপরীত যা চীনা শিক্ষার্থীরা অভ্যস্ত।