দিনপঞ্জির পাতায় গ্রীষ্মকাল শুরু হয়নি বাংলাদেশে। তাবে তাপমাত্রা বেড়েছে অনেকটা। দেশটির কেথাও কোথাও বইছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয় অফিস বলছে চুয়াডাঙ্গায় টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই আটকে আছে তাপমাত্রা।
টানা পাঁচদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে চুয়াডাঙ্গায়। এর ফলে কাহিল সব শ্রেণির মানুষ। জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মানুষ ও যানবাহন চলাচল অনেকটা কমে গেছে। বাজারে ঈদ কেনাকাটায় ছেদ পড়েছে।বেসরকারি চাকরিজীবী শিউলি শারমীন বলেন, “প্রচণ্ড গরমে রোজা রাখা আর অফিস করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হতো।”
রিকশাচালক লিয়াকত মিয়া বলেন, “রাস্তায় বের হলে মাথার উপর প্রখর সূর্য থাকছে। একদিকে গরমে রিকশা চালোনো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে যাত্রীও তেমন একটা নেই।” ব্যাংকার আবির হোসেন রাজু বলেন, “ভাবছিলাম মাঝ রোজায় পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করে রাখবো। এত রোদ আর তাপমাত্রা, মার্কেটে ঘোরাঘুরি করার উপায় নেই।”
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, “জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও রবিবার ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। অর্থাৎ, টানা তিনদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, “আজ (৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া গত তিনদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়। আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। টানা বৃষ্টিপাত না হলে দিনের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে”