তিস্তা নিয়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ, ভারতের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পায়নি বাংলাদেশ

তিস্তা নদীর পানি ব্যবহারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে আরো দুটি খাল খনন সম্পর্কিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক যোগাযোগ করা হয়েছিলো। এর জবাবে, এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া নেই বলে জানিয়েছে ভারত।

নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার কাছে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। আমরা এখনো সাড়া দিয়েছি কি না, সে সম্পর্কে আমার কাছে বিস্তারিত কিছু নেই।”

তিনি আরো বলেন, “পররাষ্ট্র সচিবের (বাংলাদেশ) মন্তব্য আমি দেখেছি। এটি এমন একটি বিষয় যাতে আমরা এখনো কোনো বিবৃতি দিইনি।”

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন জানান, তিস্তার পানি প্রত্যাহারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে দুটি নতুন খাল খননের বিষয়ে জানতে চাওয়া তাদের কূটনৈতিক নোটের (নোট ভার্বাল) বিষয়ে ভারত এখনো সাড়া দেয়নি।

এর আগে, কলকাতার দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানায়, তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরো দুটি খাল খননের জন্য প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সেচ বিভাগ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয় যে, এই পদক্ষেপটি জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার আরো বেশি খামারকে সেচের আওতায় আনতে সহায়তা করবে। তবে, তিস্তা উত্তরবঙ্গ থেকে প্রবাহিত হওয়ায় বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিস্তার পানি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সেচের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যবর্তী সময়ে। পানি সংকট নিরসনে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে দেশটি।