ফিজির প্রধানমন্ত্রী চীনের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এক উচ্চপদস্থ নেতার ফিজি সফরের সময় চীন সরকার গুপ্তচরবৃত্তি করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করছেন সিতিভেনি রাবুকা।
রাবুকা গত ডিসেম্বর মাসে তৃতীয়বারের মতো ফিজির প্রধানমন্ত্রী হন। রাবুকা ১৯৮৭ সালে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঐ দেশটিতে দুটি সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ১৯৯০-এর দশকে দেশটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তার সরকার ফেডারেল স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়ার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডেভিড পানুয়েলোর অভিযোগের তদন্ত করছেন যে সম্প্রতি ফিজি সফরের সময় চীনের এজেন্টরা তাকে অনুসরণ করেছিল।
পানুয়েলো বেইজিংয়ের কঠোর সমালোচক। গত মাসে তিনি মাইক্রোনেশিয়ার আইনসভায় চিঠি লিখে চীনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি, স্থানীয় রাজনীতিবিদদের ঘুষ দেওয়া এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব খর্ব করার চেষ্টার অভিযোগ করেন।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের দ্য প্যাসিফিক প্রোগ্রামে রাবুকা জোর দিয়ে বলেছিলেন যে ফিজিতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি, তবে সেগুলি গুরুত্বসহকারে নেওয়া হচ্ছে।
রাবুকা বলেন, “ফিজির আধিপত্যে থাকাকালীন অন্য কোনো শক্তির হুমকি অনুভব করা হচ্ছে তার মুখে প্রায় চপেটাঘাত করার শামিল। সুতরাং, আমাদের নিশ্চিত হওয়া দরকার যে আসলে কি ঘটেছিল এবং যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে আমরা কীভাবে তা মোকাবেলা করব?”
চীনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ঐ অভিযোগের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।