সম্পর্ক ‘পুনস্থাপন’-এর জন্য চীনে ইইউ নেতাদের বিরল সফর

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বেইজিংয়ের ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগে চীনা সামরিক কর্মকর্তারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। ৫ এপ্রিল, ২০২৩।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বুধবার (৫ এপ্রিল) চীন সফরে গেছেন। সেখানে তাঁরা ইউক্রেন এবং বাণিজ্য ঝুঁকির মতো কণ্টকাকীর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এই অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ক “পুনস্থাপন” করতে চাইছেন।

ফ্রান্সের কর্মকর্তারা গত বছরের শেষের দিকে চীনে একা সফর করার জন্য জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সমালোচনা করার পরে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউরোপীয় ঐক্য প্রদর্শনের উপায় হিসেবে ভন ডার লেইনকে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ম্যাক্রোঁর উপদেষ্টারা বলেন, তিনি ইইউকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্র আরও দৃঢ় করার জন্য চাপ দিয়েছেন এবং ভন ডার লেইনের অবস্থানকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন। তবে ফরাসি এই নেতা প্রকাশ্যে চীন বিরোধী জোরালো বক্তব্য ব্যবহার করা থেকে বিরত আছেন। কেননা বেইজিংয়ের দ্বিপক্ষীয় প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের প্রবণতা রয়েছে।

দুজনই বলেছেন, বাণিজ্যের বাইরে তারা ইউক্রেনে শান্তি আনতে রাশিয়ার ওপর প্রভাব খাটাতে চীনকে রাজি করাতে চান অথবা অন্তত বেইজিংকে সরাসরি তার মিত্রকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখতে চান।

এ বছরের শুরুর দিকে চীন ইউক্রেন সংকটের জন্য একটি ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছিল। এতে দুই পক্ষকে একটি বিস্তৃত যুদ্ধবিরতির দিকে যাওয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে উত্তেজনা হ্রাসে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

কিন্তু রাশিয়াকে নিন্দা জানানোর ব্যাপারে চীনের অস্বীকৃতির কারণে মূলত এই পরিকল্পনাটি পশ্চিমারা প্রত্যাখ্যান করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো তখন বলেছিল, চীন রাশিয়াকে অস্ত্র পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে। তবে বেইজিং এমন দাবি অস্বীকার করেছে।