সিরিয়ার হোমস প্রদেশের নিরাপত্ত চৌকির ওপর ইসরাইলের বাহিনী রবিবার সকালে বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অপরদিকে, পশ্চিমা দেশের গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে এই বোমা হামলা চালানো হয়েছে।এসব ঘাাঁটিতে ইরানের সেনা সদস্যরা অবস্থান করছিলো।
বৃহস্পতিবার থেকে সিরিয়ায় এটা তৃতীয় বিমান হামলা। তবে, ইসরাইলের সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম রবিবার জানিয়েছে যে শুক্রবার দামাসকাসের কাছে ইসরাইলের এক হামলায় ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের ২ সদস্য নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, হামলায় কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সামরিক বাহিনীর ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।
পশ্চিমা দেশের ২টি গোয়েন্দা সূত্র, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছে, প্রাচীন শহর পালমাইরার পশ্চিমে অবস্থিত টি-ফোর বিমানঘাঁটি ও লেবাননের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত আল কোসাইর শহরের আল দাবা বিমানবন্দর রকেট হামলার শিকার হয়েছে। এ অঞ্চলগুলোতে ইরানের সমর্থনপুষ্ট হিজবুল্লা গোষ্ঠীর আধিপত্য রয়েছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, হোমস প্রদেশের এই ২ বিমানবন্দরে লেবাননের হিজবুল্লাহ’র সদস্যদের পাশাপাশি ইরানের সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে।এছাড়া, সেখানে ইরান-সমর্থক আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদেরও শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।
একটি আঞ্চলিক গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিলো একটি ভূগর্ভস্থ গবেষণা কেন্দ্র। সন্দেহ করা হয় যে সেখানে ইরানের বিজ্ঞানীরা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতা উন্নয়নে কাজ করছেন।
ইরানের দাবি, দামাসকাসের আমন্ত্রণে তাদের কর্মকর্তারা সিরিয়ায় উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। সিরিয়ার ১২ বছরের গৃহযুদ্ধে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কয়েক ডজন সদস্য নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে বছরের পর বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। ইসরাইল বলছে এই লক্ষ্যবস্তুগুলো ইরানের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সংঘাতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দেয়ার পর থেকে সিরিয়ায় তেহরানের প্রভাব বেড়েছে।