ব্রিটেন প্রধান একটি এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য অংশীদারিত্বে অন্যান্য ১১টি দেশের সাথে যোগ দেবে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শুক্রবার এ ঘোষণা দেন। এটি প্রায় দুই বছরের আলোচনার পরে ব্রেক্সিট-পরবর্তী দেশের বৃহত্তম বাণিজ্য চুক্তি।
২০১৮ সালে ট্রান্স-প্যাসিফিক অংশীদারিত্বের (সিপিটিপিপি) জন্য ব্যাপক এবং প্রগতিশীল চুক্তি তৈরির পর ব্রিটেন প্রথম নতুন সদস্য এবং ব্লকটির প্রথম ইউরোপীয় দেশ হতে যাচ্ছে।
সুনাকের কার্যালয় জানায়, ব্রিটেন এটির ১২তম সদস্য হওয়ার পরে বাণিজ্য গ্রুপটিতে ৫০ কোটির বেশি মানুষ এবং বিশ্ব জিডিপির ১৫ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত হবে।
তারা বলেছে, ২১ মাসের “ব্যাপক আলোচনার” পরে ব্রিটেনের যোগদান দেশটিকে “একটি গতিশীল গোষ্ঠীর অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে” রাখে। তারা আরও বলে, এটি “আমাদের ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য স্বাধীনতার সুযোগগুলো নেয়ার ” প্রমাণ।
.সমালোচকদের যুক্তি, এ ধরনের উদ্যোগগুলো বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য ব্লক ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যৌথ অর্থনীতি ছেড়ে চলে যাওয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের জন্য লড়াই করবে।
“সিপিটিপিপির অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য এখন নতুন চাকরি, প্রবৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনের সুযোগগুলো গ্রহণ করতে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রধান একটি অবস্থানে রয়েছে।”
সিপিটিপিপি হলো পূর্ববর্তী ট্রান্স-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তির উত্তরসূরি । ২০১৭ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে এই ট্রান্স-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি থেক নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
টোকিওতে জাপান সরকারের মুখপাত্র হিরোকাজু মাতসুনো এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি সংবাদদাতাদের বলেন, “যুক্তরাজ্য একটি বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদার এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার।”
তিনি আরও বলেন, “একটি অবাধ এবং ন্যায্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের জন্য এর যোগদান বড় রকমের অর্থ বহন করে।”