'একটু একটু করে' স্বাধীন গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করছে বুর্কিনা ফাসো: ফরাসী সাংবাদিক

আল-কায়েদার সহযোগী একটি সংগঠনের আঞ্চলিক প্রধানের সাথে সাক্ষাত্কার গ্রহণের সময় সাংবাদিক ওয়াসিম নাসর। ৬ মার্চ, ২০২৩।

একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের মুখপাত্রের সাক্ষাৎকার নেয়ার ফলে, ফরাসী মিডিয়া ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর কে নিষিদ্ধ করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুর্কিনা ফাসো। সাক্ষাৎকার নেয়া ওই সাংবাদিক ভিওএ-কে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবে দেশটির গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পতনকেই ইঙ্গিত করে।

এই মাসের শুরুর দিকে আল-কায়েদার সহযোগী একটি সংগঠনের আঞ্চলিক প্রধানের সাথে সাক্ষাত্কারের একটি অংশ প্রচার করার পর, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোরকে দেশটিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বুর্কিনা ফাসোর সামরিক সরকার।

সাক্ষাৎকারটির উপস্থাপক সাংবাদিক ওয়াসিম নাসর ভিওএ-কে বলেছেন, দেশটিতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসাবেই নেটওয়ার্কটি বন্ধ করেছে বুরকিনাবে নেতৃত্ব।

নাসর ভিওএ-কে বলেন, "যখন আমরা বুরকিনাবের সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী কিংবা সামাজিক অথবা সুশীল সমাজের কর্মীদের সাথে কথা বলি, তারা সবাই মনে করে, দেশটিতে একটু একটু করে স্বাধীন সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সেখানে যা ঘটছে, এবং কী কী ভুল হচ্ছে, সে সম্পর্কে কথা বলতে তারা সবাই খুব ভয় পায়।"

এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য ভিওএ-এর পক্ষ থেকে বুরকিনাবে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে, এই খবর প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

তবে, সাক্ষাৎকারটি প্রচারের পর, বুরকিনা ফাসো সরকারের মুখপাত্র জিন-ইমানুয়েল ওয়েড্রাওগো বলেছেন, ইসলামিক মাগরেবে আল-কায়েদার প্রধানের সাথে ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর-এর সাক্ষাৎকারটি বস্তুত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির মুখপত্র হিসাবেই কাজ করেছে।

ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর-এর উপর স্থগিতাদেশের ফলে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসসহ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলি ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তারা এই পদক্ষেপটিকে "সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর নির্লজ্জ আক্রমণ" বলে অভিহিত করেছেন, এবং অবিলম্বে স্থগিতাদেশটি প্রত্যাহারের জন্য বুরকিনাবে সরকারকে অনুরোধ করেছেন।

এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।