রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, পুতিনের পদক্ষেপ “উস্কানিমূলক” এবং এটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাকে অবমূল্যায়ন করেছে।
পাঁচটি ভেটো ক্ষমতাধর স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের একটি হিসেবে, রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদে যেকোনো পদক্ষেপ স্থগিত করতে পারে। ইউক্রেন বলেছে, তারা অন্য চার স্থায়ী সদস্য; ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে “কার্যকর উদ্যোগ” আশা করে।দেশটি আরো বলেছে, এই দেশগুলো “পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে আগ্রাসনের হুমকি প্রতিরোধে, প্রাথমিক দায়িত্ব বহন করে।”
পুতিন শনিবার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান সামরিক সমর্থনের কারণে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে। পশ্চিমের সমর্থনের মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনে ক্ষয়প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে গত সপ্তাহে নেয়া ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত।
পুতিন বলেন, বেলারুশে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক সমরাস্ত্র স্থাপন; বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের চেয়ে আলাদা কিছু নয়।
নেটোর মুখপাত্র ওয়ানা লুঙ্গেস্কু, নেটো সদস্যদের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সাথে রাশিয়ার পরিকল্পনার তুলনাকে বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে রাশিয়ার বাড়াবাড়ি ধরনের বক্তব্য “বিপজ্জনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন।”
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পুতিনের ঘোষণার “কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করবে।” ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, ইউক্রেনে হামলার জন্য “রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এখন পর্যন্ত এমন কোনো ইঙ্গিত” দেখতে পায়নি ওয়াশিংটন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি,এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।