ম্যাক্রোঁর পেনশন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে দেশজুড়ে বিক্ষোভ

প্যারিসের কাছে রয়সির প্যারিস-চার্লস দ্য গল বিমানবন্দরে ফ্রান্স সরকারের পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মঘট এবং বিক্ষোভের নবম দিনে টার্মিনাল ১-এর বাইরে ধর্মঘটরত বিমানবন্দর কর্মীরা জড়ো হয়। যাত্রীরা তাদের মালপত্র নিয়ে হাঁটছেন। ২৩ মার্চ, ২০২৩।

পেনশনের বয়স বৃদ্ধির কারণে ক্ষুব্ধ ফরাসি কর্মীরা বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের অংশ হিসেবে প্যারিসের রয়সি-চার্লস দ্য গল বিমানবন্দরে একটি টার্মিনালের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে, কিছু যাত্রীকে পায়ে হেঁটে সেখানে যেতে বাধ্য করে।

এই আইন প্রত্যাহার করার জন্য ইউনিয়নগুলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করায় ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়, কিছু স্কুল বন্ধ ছিল এবং রাস্তায় আবর্জনা স্তূপীকৃত ছিল ও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন কেটে দেয়া হয়। এই আইনের অধীনে অবসর গ্রহণের বয়স দুই বছর বেড়ে ৬৪ বছর হবে।

বুধবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, সারা দেশে ক্ষোভ বাড়তে থাকা সত্ত্বেও আইনটি বছরের শেষ নাগাদ কার্যকর হবে। ম্যাক্রোঁর সরকার গত সপ্তাহে ভোট ছাড়াই প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেছিল।

নীতি পরিবর্তনের প্রতিবাদে জানুয়ারি থেকে ইউনিয়নগুলো দ্বারা আয়োজিত সমাবেশে বিশাল জনসমাগম হয়েছে। এই নীতির অধীনে অবসরে যাওয়ার বয়স বৃদ্ধি করা হবে যার কারণে পুর্ণ পেনশন পাওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে পূর্বের চেয়ে আরও কয়েক বছর বেশি কাজ করতে হবে।

বেশিরভাগ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল, কিন্তু গত সপ্তাহে সরকার ভোট ছাড়াই বিলটি সংসদে উত্থাপন করার পর থেকে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন মধ্যপন্থী সিএফডিটির প্রধান লরেন্ট বার্গার বিএফএম টিভিকে বলেছেন, সরকারকে অবশ্যই পেনশন আইন প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, ম্যাক্রোঁর মন্তব্য “ক্ষোভ বৃদ্ধি করেছে।”

শ্রমমন্ত্রী অলিভিয়ার ডুসপ্ট বলেছেন, সরকার উত্তেজনার বিষয়টি অস্বীকার করছে না তবে তারা সামনে এগোতে চায়।

তিনি বলেন, “পদক্ষেপগুলো ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে।”