হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম অটোয়া সফরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা কবেন। তার আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ, জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য, অভিবাসন, ইউক্রেনের সংঘাত এবং হাইতির অস্থিতিশীল পরিস্থিতি।
(আজ) বৃহস্পতিবার বাইডেনের কানাডার রাজধানীতে এক রাতের সফরে রওনা হওয়ার কথা।যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এবং শুক্রবার তিনি কানাডার পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়ক জন কারবি বলেন, সেখানে বাইডেন প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি খাতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়া এবং সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তোলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা নিয়ে আলোচনা করবেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ইস্যুগুলোর গুরুত্ব ওয়াশিংটন ও অটোয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্বকে তুলে ধরে - এই দুটি দেশের রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অরক্ষিত স্থল সীমান্ত। তাদের সম্পর্কও ভারসাম্যহীন
উড্রো উইলসন সেন্টারের পাবলিক পলিসি ফেলো এবং আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত আর্ল অ্যান্থনি ওয়েন বলেন, "এটা এমন এক সম্পর্ক যাকে প্রায়শই যথার্থমনোযোগ এবং সম্মান দেয়া হয় না”।
বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদের অর্ধেকেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে অটোয়া সফর করছেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডার সাবেক রাষ্ট্রদূত লুইস ব্লাইস বলেন, 'কানাডায় এটি প্রথম পৃষ্ঠার খবর এবং বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই আশা করা হচ্ছে যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কানাডায় আসছেন।
রাষ্ট্রদূত গর্ডন গিফিন যিনি কানাডায় নিযুক্ত আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রদূত, তিনি এই সংক্ষিপ্ত সফরের আলোচ্যসূচী নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন,"আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সফরে এখন পর্যন্ত যে বিষয়গুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে অবশ্যই তার সফর তিন সপ্তাহ হওয়া উচিত দুই দিনের নয়।