সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)

আসন্ন সিটি করপোরেশের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। তবে আগামী সাধারণ নির্বাচনে এসব ব্যবহারের বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন।

জাতীয় নির্বাচনের আগে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরিশাল, গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

বুধবার (২২ মার্চ) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা এ মন্তব্য করেন।

সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, “এ বছর অনুষ্ঠিতব্য পাঁচ সিটি নির্বাচনে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করব”।

তিনি বলেন, “ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা বলতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা রয়েছে”।

করপোরেশনের পাঁচ বছরের মেয়াদের শেষ ১৮০ দিনের মধ্যে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করতে ইসি আইনত বাধ্য।

ইসিকে ১১ মার্চ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ১৩ এপ্রিল থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশন ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ১৪ মে থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং ৬ মে এবং ৫ নভেম্বরের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার আব্দুল খালেক ২০১৮ সালের ১৫ মে খুলনা সিটির এবং একই বছরের ২৬ জুন জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগ নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী যথাক্রমে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনটি নির্বাচনই ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।