বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, “ যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশ করা, ২০২২ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে কিছু ‘মৌলিক ত্রুটি ও ভুল’ রয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র পক্ষের কাছে এই ত্রুটিগুলো উত্থাপন করবো যাতে আগামী বছরের প্রতিবেদনে এই ধরনের বিষয়ের অস্তিত্ব না থাকে।” মঙ্গলবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর এবং বিভিন্ন স্তরে বৈঠক হবে, যেখানে এই সমস্যাগুলো নিয়ে কথা হবে।” পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসময় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর কথা উল্লেখ করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের একটি সূত্র হিসেবে উদ্ধৃত হয়েছে। তিনি বলেন, “অধিকারের বাংলাদেশে কাজ করার কোনো বৈধ নথি নেই।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক ইতিহাস ও পরিচয়’ আছে এমন কোনো সুশীল সমাজ সংগঠন বা এনজিওকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই।” প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যান্য দেশও বাংলাদেশে নিবন্ধিত নয় এমন প্রতিষ্ঠান থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, “একের পর এক ভুল করতে থাকলে, এ ধরনের প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া আমরা খতিয়ে দেখবো যে আরো কোনো সমস্যা আছে কিনা, যা আমাদের বিবেচনায় নেয়া দরকার।” প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক যে বাংলাদেশকে হেয় করার প্রবণতা রয়েছে।”
অন্যদিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন যে সম্মান ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়গুলো আলোচনা করে এবং তারা তা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত অধিকারের প্রতি সম্মানের প্রচার নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বিশ্ব তৈরি করতে সাহায্য করে।”
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট ২০২২ সালে ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস’-শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে; যা যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী একটি প্রয়োজনীয় বার্ষিক প্রতিবেদন। জাতিসংঘের মানবাধিকার চুক্তি দ্বারা পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৮টি দেশ এবং অঞ্চল থেকে তথ্য নথিভুক্ত করে। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।