কৌশলগত পারমাণবিক হামলার প্রতিরূপ সৃষ্টি করে উত্তর কোরিয়ার মহড়া

দক্ষিণ কোরিয়ার সোওলে একটি রেলওয়ে স্টেশনে লোকজন টিভিতে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার সংবাদ সম্প্রচার দেখছে; (ফাইল ছবি) ১৬ মার্চ ২০২৩।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন, কৌশলগত পারমাণবিক হামলার একটি প্রতিরূপ সৃষ্টি করে অনুষ্ঠিত মহড়ার তদারকি করেছেন। সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানায়। এটিকে পিয়ংইয়ং, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ার অংশ বলে অভিহিত করেছে।

রাষ্ট্রচালিত বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবার এবং রবিবার অনুষ্ঠিত উত্তর কোরিয়ার এই মহড়ায়, “ পারমাণবিক হামলার প্রতিরূপ সৃষ্টি করে শত্রুর প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা ” অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

দক্ষিণ কোরিয়া এর আগে রবিবার ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলো। সেই সময়ে দেশটি এটিকে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে জানায়। ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার টংচাং-রি এলাকা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়; পরে তা সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া, তাদের ১১ দিনের বড় পরিসরের যৌথ সামরিক মহড়ার সমাপ্তি টানতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। এই মহড়ায়, পাঁচ বছরের মধ্যে বৃহত্তম কয়েকটি মাঠ পর্যায়ের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

মিত্র দেশ দুটি যুক্তরাষ্ট্রের “কৌশলগত অস্ত্র” সহকারে আরো কিছু মহড়া পরিচালনা করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অস্ত্র বলতে, দূরপাল্লার বোমারু বিমান, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বিমান এবং আঘাত হানতে সক্ষম বিমানবাহী জাহাজের বহরকে বোঝায়।

গত বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া একটি হোয়াসং সেভেন্টিন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ করে। এই ক্ষেপনাস্ত্র ১৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করতে সক্ষম এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে কূটনেতিক আলোচনার সময় এ ধরণের ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রখেছিলো উত্তর কোরিয়া। কয়েক বছর বিরতির পর, দেশটি গত বছর আবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোকে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্ল্যাটফর্মকে ব্যাপকভাবে বহুমুখিকরণ করেছে।এখন তারা ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণে এগুলো ব্যবহার করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কৌশলটি যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার জন্য উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ, পূর্বাভাস প্রদান এবং সনাক্ত করা আরো কঠিন করে তুলেছে।