প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার রাষ্ট্রীয় পেনশনের বয়সসীমা বাড়াতে পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ায় সোমবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তার ওপর অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট নিতে যাচ্ছে।
পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের পর, সারা দেশে তিন রাত ধরে অস্থিরতা ও বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। ২০১৮ সালের শেষ দিকে জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্যের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ইয়েলো ভেস্ট বিক্ষোভের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
তবে সোমবারের ভোটে ম্যাক্রোঁর সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রতিফলিত হলেও তাতে সরকার পতনের সম্ভাবনা কম।
বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা শুক্রবার সংসদে দুটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
মধ্যপন্থী গোষ্ঠী লিওট একটি বহুদলীয় অনাস্থা প্রস্তাব করেছিল, যা উগ্র বাম পন্থী নুপস জোট দ্বারা সহ-স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পর ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি পার্টি, যার জাতীয় পরিষদের ৮৮ জন সদস্য রয়েছে, তারাও অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করে।
কিন্তু গত বছরের নির্বাচনে নিম্নকক্ষে ম্যাক্রোঁর দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও উগ্র বাম থেকে উগ্র ডানপন্থী সব পক্ষের আইনপ্রণেতাদের আকস্মিক জোট গঠন না করা পর্যন্ত বহুদলীয় প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
রক্ষণশীল লে রিপাবলিকেইন (এলআর) পার্টির নেতারা এ ধরনের জোটের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তাদের কেউই শুক্রবার দায়ের করা প্রথম অনাস্থা প্রস্তাবের পৃষ্ঠপোষকতা করেননি।
কিন্তু তারপরও কিছুটা চাপের মুখে পড়ে দলটি।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নিসে লে রিপাবলিকেইনের নেতা এরিক সিওত্তির রাজনৈতিক কার্যালয় রাতারাতি ভাংচুর করা হয় এবং প্রস্তাবটি সমর্থন না করা হলে দাঙ্গার হুমকি দেওয়া হয়।
টুইটারে লিখেছেন সিওত্তি, "তারা সহিংসতার মাধ্যমে সোমবার আমার ভোটের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়। সন্ত্রাসের নতুন শিষ্যদের কাছে আমি কখনই মাথা নত করব না।"
ম্যাক্রোঁর সংস্কারের ফলে পেনশনের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ বছর করা হয়েছে। সরকার বলছে, সিস্টেমটি ভেঙে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য এটি অপরিহার্য।