জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগের কারণে আরো কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা চায় যুক্তরাষ্ট্র

চীনের মানচিত্র। লাল অংশটি উইঘুর অঞ্চল

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের (ডিএইচএস)এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে তাদের আগ্রাধিকার তালিকার অন্যতম হলো, চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে জোরপূর্বক শ্রম ব্যবহারের কারণে, আরো কিছু চীনা প্রতিষ্ঠানকে এ বছর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা।

ডিএইচএস-এর কৌশল, নীতি ও পরিকল্পনা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি রবার্ট সিলভারস বলেন, এ বছর আরেকটি অগ্রাধিকার হলো, ইউরোপের সমমনা দেশগুলোর পাশাপাশি জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও অন্যান্য দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণে রাজি করানো।

ডিএইচএসকে, উইঘুর বাধ্যতামূলক শ্রম প্রতিরোধ আইনের আলোকে, জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত করার লক্ষ্যে পাচারে যুক্ত কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একটি তালিকা তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র ।

ওয়াশিংটনের হাডসন ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সিলভারস বলেন,“ ২০২৩ সালে আমাদের সর্বোচ্চ আগ্রাধিকারের একটি হলো ঐ তালিকায় আরো কিছু প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভূক্ত করা”।

তিনি বলেন, "এনজিও এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে, জিনজিয়াং বা জিনজিয়াংয়ের আশেপাশে কর্মরত এমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা এই ঘৃণ্য কাজে জড়িত। আমরা তাদের নাম বলতে চাই এবং আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে তাদের পণ্যগুলো এই দেশে আসবে না। "

জোরপূর্বক শ্রম এবং উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকদের অন্তরীণ করার যে অভিযোগ অধিকার গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, বেইজিং তা প্রত্যাখ্যান করেছে। জিনজিয়াং-এর পশ্চিমাঞ্চল সংখ্যালঘু ইউঘুরদের আবাসস্থল। সেখানে প্রায় এককোটি লোক বসবাস করে। জিনজিয়াং-এ চীন গণহত্যা চালাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে।

সিলভারস বলেন, "আমরা জিনজিয়াং প্রদেশে অন্ধকার দেখেছি। আমরা এখনো অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি।" তিনি আরও বলেন ডিএইচএস নিষেধাজ্ঞার মাত্র বাড়াতে যাচ্ছে।

সিলভারস বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো যদি প্রমাণ করতে পারে যে তারা অপকর্ম থেকে বের হয়ে এসেছ, তবে তালিকা থেকে কোম্পানিগুলোকে বাদ দেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, জিনজিয়াং থেকে তুলার পণ্য আসছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য ডিএইচএস ডিএনএ পরীক্ষার মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে।