ঘূর্ণিঝড় কবলিত মোজাম্বিকে কলেরায় প্রাণহানি ৮, অসুস্থ শতাধিক

১২ মার্চ ইউনিসের তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে কুইলিমানে শহরে সাইক্লোন ফ্রেডিতে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা দিয়ে লোকজন হাঁটছে।

মোজাম্বিকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এ সপ্তাহে কলেরার প্রাদুর্ভাবে আটজন মারা গেছেন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ঝড় আঘাত হানার পর থেকে ৬’শ জন অসুস্থ হয়ে পড়েতাদের মধ্যে ২৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরমিন্ডো টিয়াগো রাষ্ট্র-পরিচালিত রেডিও মোজাম্বিককে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জাম্বেজিয়া প্রদেশের রাজধানী বন্দর নগরী কুইলিমানে কলেরায় সবচেয়ে বেশী মানুষআক্রান্ত হয়েছে।

টিগাও বলেন, শহরের ১৩৩টি কেন্দ্রে কলেরা নিরাময়ের কাজ চলছে যেখানে বন্যায় বাস্তুচ্যুত ৫০ হাজার পর্যন্ত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও কাজ করা দরকার যেখানে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি আঘাত হেনেছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ঐ অঞ্চলে প্রচণ্ড ঝড় আঘাত হানে।

টিয়াগো বলেন, পানীয় জল ফুটানো, খাবার পরিষ্কার ও ধুয়ে খাওয়া এবং আবর্জনা সঠিকভাবে ফেলে এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সবাইকে কাজ করতে হবে- বিশেষ করে মানুষের বর্জ্য। যদি ডায়রিয়া এবং বমির মতো লক্ষণ দেখা দেয় তবে তাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্য ইউনিটে যেতে হবে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার নিশ্চিত করেছে যে মোজাম্বিকে কলেরার ঘটনা বাড়ছে এবং অন্যদিকে রেকর্ড প্রাদুর্ভাবের পরে প্রতিবেশী মালাউইতে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আফ্রিকায় এ বছর ৪০ হাজারের বেশি কলেরা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে যার অর্ধেকেরও বেশি আক্রান্ত হয় মালাউইতে।

এক বছর আগে প্রাদুর্ভাবের পর থেকে মালাউই-তে প্রায় ৫০ লক্ষ ডোজ টিকা দেয়া হয়। তবে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে যে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে সেখানে এবং মোজাম্বিকে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

ফেব্রুয়ারি মাসে ঘূর্ণিঝড়টি আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মোজাম্বিকে কলেরার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা চারটি প্রদেশের সাত লক্ষেরও বেশি লোককে টিকা দেওয়া হয়েছিল তবে জাম্বেজিয়া প্রদেশটি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অংশীদারিত্বে পরিচালিত ভ্যাকসিন অভিযানের আওতাধীন অঞ্চলগুলির মধ্যে ছিল না।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার মোজাম্বিক কলেরার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ১৩ লক্ষ ডোজ কলেরার টিকা দেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে।