ব্রিটেনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করা লিনেকারকে ফিরিয়ে নিচ্ছে বিবিসি

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার এবং ইংল্যান্ড ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক গ্যারি লিনেকার। ১৬ এপ্রিল, ২০২২। (ফাইল ছবি)

বিবিসি সোমবার জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার গ্যারি লিনেকারের সাথে তাদের দ্বন্দ্বের পর একটি সন্ধি করতে সম্মত হয়েছে। তার একটি টুইটের জন্য সাবেক এই ফুটবল তারকার প্রতি নেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিবিসি। ওই টুইটে তিনি যুক্তরাজ্য সরকারের বিতর্কিত নতুন অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছিলেন।

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি বলেছেন, "গ্যারি বিবিসির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন এবং আমি জানি যে, গ্যারির কাছেও বিবিসি কতটা তাৎপর্যময়। তাই আগামী সপ্তাহান্তে তিনি আমাদের কভারেজ উপস্থাপন করবেন বলে আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।"

লিনেকার (৬২) বলেন, তিনি "আনন্দিত যে আমরা শেষ পর্যন্ত একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছি।"

গত সপ্তাহে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ সরকার কর্তৃক ঘোষিত একটি পরিকল্পনা থেকে ক্ষোভের উদ্ভব হয়, যা বছরে হাজার হাজার অভিবাসীকে ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে ছোট নৌকায় করে দেশে পৌঁছানো বন্ধ করার চেষ্টা করে। সরকার প্রণীত একটি নতুন বিলের আওতায় অননুমোদিত উপায়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো যে কাউকে আশ্রয় প্রার্থনায় বাধা দেবে এবং সরকারকে তাদের "তাদের নিজ দেশে বা নিরাপদ তৃতীয় দেশে" আটক করতে এবং নির্বাসনে বাধ্য করবে।

আইনটি প্রণয়নের জন্য উদ্বাস্তু গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নিন্দা করা হয়েছে এবং সরকারও স্বীকার করে নিয়েছে যে এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে।

ইংল্যান্ডের অন্যতম প্রশংসিত খেলোয়াড় এবং বিবিসির সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত টেলিভিশন উপস্থাপক লিনেকার, পরিকল্পনাটিকে "অতিরিক্ত নির্মম" হিসাবে বর্ণনা করার পর এবং সরকারের ভাষাকে "৩০-এর দশকে জার্মানির ব্যবহৃত ভাষা থেকে ভিন্ন নয়" বলে অভিহিত করার পর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

ব্রিটেনের দুটি ডান-ঘেঁষা সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফ এবং ডেইলি মেইল তাদের শিরোনামে লিনেকারের মন্তব্যকে "নাৎসি" হিসাবে বর্ণনা করে তার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে, যদিও তিনি ওই শব্দটি ব্যবহার করেননি।

রক্ষণশীল সরকার লিনেকারের জার্মানির সাথে ওই তুলনাকে আক্রমণাত্মক এবং অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছে এবং কিছু আইনপ্রণেতা বলেছেন যে বিবিসির উচিত তাকে বরখাস্ত করা।

বিবিসি শুক্রবার ঘোষণা করেছিল, লিনেকার তার টুইটগুলি বিবিসির নিরপেক্ষতা নিয়মের মধ্যে রাখতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত কাজ থেকে "বিরত" থাকবেন।