বৌদ্ধ মঠ হত্যাকাণ্ডের জন্য মিয়ানমারের বিদ্রোহী এবং জান্তা পরস্পরকে দায়ী করছে

মিয়ানমারের মানচিত্র।

মিয়ানমারের জান্তা এবং অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধারা সোমবার একটি বৌদ্ধ মঠে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৩০ জনকে হত্যার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি দুই বছর আগে একটি অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। দেশটির ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন অংশ জুড়ে কয়েক ডজন “পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস” (পিডিএফ)-এর সাথে লড়াই করছে।

শান রাজ্যের চারপাশে সক্রিয় দুটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী- কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) এবং পা-ও ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স বলেছে, সৈন্যরা শনিবার ন্যাম নিনট গ্রামে প্রবেশ করেছে।

কেএনডিএফ জানায়, একটি মঠে আশ্রয় নেয়া বেসামরিক নাগরিকদের বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেয়ার পর সৈন্যরা তিনজন বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ৩৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে।

জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন নিশ্চিত করেছে, শনিবার ন্যাম নিনট গ্রামে সংঘর্ষ হয়েছে এবং কিছু অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

এএফপি নিরপেক্ষভাবে জড়িতদের বিষয়ে যাচাইবাছাই করতে সক্ষম হয়নি।

পা-ও ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, জান্তা সৈন্যরা তিনজন বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ২২ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।

এটি আরও জানায়, এর সদস্যরা আরও সাতটি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে তবে তারা কারা তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ চলছে।দ

সোমবার এএফপি কারেনি রেভোলিউশন ইউনিয়ন (কেআরইউ) থেকেও ভিডিও পেয়েছে। এটি ওই এলাকায় কাজ করা জান্তাবিরোধী আরেকটি দল।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, একটি দেয়ালের কাছে প্রায় ১২টি লাশ মাটিতে রক্তের মধ্যে পড়ে আছে। দেয়ালটিতে বুলেটের গর্ত দেখা যাচ্ছে। মৃতদের মধ্যে তিনজনের পরনে ছিল গেরুয়া রঙের পোশাক।