সুইজারল্যান্ডের নিরপেক্ষতা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রবিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাত্কারে দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যালাইন বারসেট বলেছেন, ইউক্রেনে সুইস-নির্মিত অস্ত্র হস্তান্তরের বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞার পক্ষে তাঁর দেশ।
তিনি এনজিজি অ্যাম সনট্যাগ সাপ্তাহিককে বলেন, "সুইস অস্ত্র অবশ্যই কোনও যুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না।"
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে দেশটিতে নিরপেক্ষতার দীর্ঘ ঐতিহ্য নিয়ে এ পর্যন্ত বেশ বিতর্ক হয়েছে।
যদিও ধনী আল্পাইন দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়, তবুও মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ব্লকের নেতৃত্বকেই অনুসরণ করেছে দেশটি এবং এখন পর্যন্ত তারা সামরিক নিরপেক্ষতার বিষয়ে কমই নমনীয়তা দেখিয়েছে।
কিয়েভ এবং তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও, সুইজারল্যান্ড সুইস-নির্মিত অস্ত্রধারি দেশগুলিকে ইউক্রেনে সেই অস্ত্র দেয়া থেকে বিরত রেখেছে।
বারসেট এনজিজি-কে বলেন, নীতিটি "শান্তি এবং মানবিক আইন এবং যেখানে সম্ভব মধ্যস্থতার প্রতি অঙ্গীকারের" উপর ভিত্তি করে প্রণীত।"
তিনি বলেন, রেড ক্রস এবং জেনেভা কনভেনশনের আন্তর্জাতিক কমিটির আসন হিসেবে সুইজারল্যান্ডের ভূমিকা, সেইসাথে জাতিসংঘের ইউরোপীয় সদর দফতর "আমাদের আইনে প্রতিফলিত হয়, যার মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি সংক্রান্ত আইনও রয়েছে।"
তিনি বলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়ার সাথে আলোচনার প্রয়োজন ছিল, এবং সেটা "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ততই ভাল।"
তবে, সুইস-তৈরি অস্ত্র ইউক্রেনে তৃতীয় কোনও দেশ থেকে স্থানান্তর করার উদ্দেশ্যে পুনরায় রপ্তানির নিয়ম শিথিল করার জন্য সংসদে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কিন্তু বারসেট সরকারের "অবস্থান খুবই স্পষ্ট। এটি আমার ব্যক্তিগত অবস্থানের সাথেও মিলে যায়। যুদ্ধে সুইস অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয়।"
সুইজারল্যান্ডের প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অধীনে একটি সম্ভাব্য গণভোটের পর, পার্লামেন্ট এবং সরকারের মধ্যে বিতর্কের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।