চ্যালেঞ্জের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে জয়লাভ করলেন শি জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেইজিং-এর গ্রেট হল অফ দ্য পিপল-এ চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের(এনপিসি) অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ নিচ্ছেন; ১০ মার্চ ২০২৩।

শি জিনপিং একটি জাঁকজমকপূর্ণ সংসদীয় অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন।এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা।তার এই জয় প্রমাণ করে যে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং দেশের ওপর তার সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

বেইজিং-এর গ্রেট হল অফ দ্য পিপল-এ, চীনের রাবার-স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি)-এর ২,৯৫২ জন সদস্য শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে ৬৯ বছর বয়সী শি-কে ভোট দিয়েছেনে। এই নির্বাচনে আর কোনো প্রার্থী ছিলো না। এরপরে শি তার মিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অপেক্ষমান লি কিয়েং-এর সাথে করমর্দন করেন। তিনি চীনের দ্বিতীয় নেতা হবেন এবং দেশের অর্থনীতি তত্ত্বাবধান করবেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শি তার বাম হাতে রাখা সংবিধানের অনুলিপিতে তার ডান হাত মুষ্টি করে ধরে রেখেছিলেন। তিনি “একটি সমৃদ্ধ, শক্তিশালী,গণতান্ত্রিক, সভ্য, সমন্বয়পূর্ণ এবং সুন্দর সমাজতান্ত্রিক দেশ” গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।যে দেশ হবে আধুনিক ও শক্তিশালী।

২০১৮ সালে প্রেসিডেন্টের মেয়াদের সংখ্যা বাতিল করেন শি। এর মধ্য দিয়ে শি প্রথা ভঙ্গ করে তৃতীয় মেয়াদে তার নির্বাচিত হওয়ার পথ তৈরি করেছিলেন। তবে, দলের অন্য শীর্ষস্থানীয় পদের মেয়াদ দুই বারে জন্যই বহাল থাকে। শুক্রবার রাষ্ট্রপ্রধান এবং সামরিক প্রধান হিসেবে শি-র নিয়োগ, মাও সেতুং-এর পরে চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হিসেবে তার অবস্থান নিশ্চিত করেছে। তবে এই নিয়োগ অনেকটা আনুষ্ঠানিক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যক্তিগত খাতের ওপর দলীয় এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার বিষয়ে শি-এর নীতি এবং পশ্চিমাদের সাথে দ্বন্দ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য ভালো কোনো ইঙ্গিত বহন করে না।