জাপানের নতুন মাঝারি-উত্তোলন রকেটটি মঙ্গলবার, মহাকাশে তার প্রথম উড্ডয়নে ব্যর্থ হয়ছে। লঞ্চারের দ্বিতীয় পর্যায়ের ইঞ্জিনটি পরিকল্পনা অনুযায়ী জ্বলতে না পারায় এই ব্যর্থতা আসে। এই ঘটনা মহাকাশে প্রবেশের ব্যয় হ্রাস এবং ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সাথে প্রতিযোগিতা করার প্রচেষ্টাকে ধাক্কা দিয়েছে।
জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জাক্সা) সরাসরি সম্প্রচারিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৫৭ মিটার লম্বা এইচ থ্রি রকেটটি তানেগাশিমা স্পেস পোর্ট থেকে কোনো বাধা ছাড়াই উড্ডয়ন করেছে।
কিন্তু মহাকাশে পৌঁছানোর পর রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ের ইঞ্জিন জ্বলতে ব্যর্থ হলে, মিশন কর্মকর্তারা ম্যানুয়ালি যানটি ধ্বংস করতে বাধ্য হন।
গত মাসে একটি বাতিল উৎক্ষেপণের পরে, এই প্রচেষ্টা এবার ব্যর্থ হয়।
ওসাকা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হিরোতাকা ওয়াতানাবে বলেন, 'আগে বাতিল ও স্থগিত হবার পর, এবার এটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।“
তিনি আরও বলেন, "এটি জাপানের ভবিষ্যত মহাকাশ নীতি, মহাকাশ ব্যবসা এবং প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে।"
তিন দশকের মধ্যে জাপানের প্রথম নতুন রকেটটি এএলওএস -থ্রি বহন করছিল। এটি একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্থল পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ, যা উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সনাক্তকরণে ডিজাইন করা পরীক্ষামূলক ইনফ্রারেড সেন্সর দিয়ে সজ্জিত ছিল।
এইচথ্রি নির্মাতা মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এমএইচআই) জানিয়েছে, তারা জাক্সা দিয়ে রকেটের আশেপাশের পরিস্থিতি নিশ্চিত করছে। তবে এর বেশি কোনো মন্তব্য করেনি।
এমএইচআই’র পূর্বাভাষ অনুযায়ী, এইচ থ্রি’র প্রতিবার উৎক্ষেপণের খরচ এর পূর্বসূরী এইচ-টু’র অর্ধেক হবে। ফলে এটি বৈশ্বিক রকেট বাজারে পুনঃব্যবহারযোগ্য স্পেস এক্স এর ফ্যালকন নাইন রকেটের আধিপত্য ভেঙে ব্যবসা সফল হতে সাহায্য করবে।
মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে জাপানের গভীর সহযোগিতার অংশ হিসাবে, এটি অবশেষে গেটওয়ে লুনার স্পেস স্টেশনে কার্গো বহন করবে যা মহাকাশ সংস্থা নাসা, জাপানি নভোচারী সহ মানুষকে চাঁদে নেয়ার প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।