আগামী সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা উন্মোচনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক রবিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের সেখানে থাকতে দেওয়া হবে না।
ইউরোপের বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে আগত অভিবাসীদের প্রবাহ সমস্যার সমাধান করার জন্য তার নিজ দলের আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে চাপের মুখে আছেন সুনাক। যার ফলে তিনি তার প্রাধান্য তালিকার ৫টি লক্ষ্যের মাঝে ছোট নৌকার আগমন ঠেকানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
সুনাক রবিবার দ্য ডেইলি মেইল সংবাদপত্রকে বলেন, “নিশ্চিত ভাবে জানবেন, আপনি যদি এখানে অবৈধভাবে আসেন, তাহলে আপনাকে থাকতে দেওয়া হবে না”।
সংবাদপত্রটি জানায়, গত বছর ৪৫ হাজার মানুষ নৌকায় করে এই বিপদসংকুল পথ পাড়ি দেওয়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার এ সমস্যার মোকাবিলায় নতুন আইন প্রকাশের কথা রয়েছে।
গত বছর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আফগানিস্তান, সিরিয়া অথবা অন্যান্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আসা দশ হাজারেরও বেশি অভিবাসীদের প্রায় ৪ হাজার মাইলের চেয়েও বেশি দূরে অবস্থিত রুয়ান্ডায় পাঠানোর জন্য একটি চুক্তিতে সম্মত হন।
এই নীতিমালা আইনি লড়াই-র মধ্য দিয়ে গেছে। ইউরোপের মানবাধিকার সংক্রান্ত আদালতের শেষ মুহূর্তে জারি করা স্থগিতাদেশের কারণে অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর প্রথম পরিকল্পিত ফ্লাইটের উড্ডয়ন বন্ধ হয়। লন্ডনের হাইকোর্ট ডিসেম্বরে এই ফ্লাইটের বৈধতা দিলেও বিরোধীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সরকারের মন্ত্রী ক্রিস হিটন-হ্যারিসকে স্কাই নিউজ জিজ্ঞাসা করে, যারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আসছে, তাদেরকে কী রাজনৈতিক আশ্রয় প্রক্রিয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হবে কী না। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমার বিশ্বাস বিষয়টা এরকমই হবে”।
“যদি কেউ অবৈধভাবে এই দেশে আসে, তাহলে তাদেরকে নিজেদের দেশে অথবা রুয়ান্ডার মতো কোনো জায়গায় পাঠানো হবে”।
যারা যৌক্তিক কারণে রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজছেন, তারা কী সেটা করতে পারবেন কী না, এ প্রশ্নের জবাবে হিটন-হ্যারিস বলেন, “আমি মোটামুটি নিশ্চিত, আরও নিরাপদ ও বৈধ রুট রয়েছে”।