ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উদ্যেগী দেশগুলোকে সহায়তা করতে, একটি নতুন বৈশ্বিক প্রকল্পে ৫ কোটি ২৯ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর তিনি, জলবায়ু বিষয়ক প্রতিশ্রতি পূরণে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।
গ্যাবনে দুই দিনব্যাপী ওয়ান ফরেস্ট শীর্ষ সম্মেলন শেষে এই অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়। এ সম্মেলনের লক্ষ্য ছিলো, গত বছরের কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা এবং বিশ্বের বনসংরক্ষণ লক্ষ্য নবায়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
আফ্রিকার চার দেশ সফরের প্রথম দিনে দেওয়া এক ভাষণে ম্যাক্রোঁ বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি যে নগদ অর্থের প্রয়োজন; সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাও অনুধাবন করতে পারছি আমরা।“
কোনো দেশ তাদের বন রক্ষা করেছে বা নতুন করে সৃজন করেছে; তা যদি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়, তবে তাদের সহায়তা করতে, একটি পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ( ১০ কোটি ইউরো) একটি যৌথ অর্থায়ন প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হলো ফ্রান্সের এই সহায়তা অঙ্গীকার।
ম্যাক্রোঁ বলেন, গবেষণার মাধ্যমে আমাজন, আফ্রিকা ও এশিয়ায় কার্বন মজুদ, জীববৈচিত্র্য এবং কার্বনের আইনগত মাত্রা নির্ধারণ করতে এই প্রকল্প পরিচালিত হবে।
গ্যাবনের মতো মধ্য আফ্রিকার দেশগুলো, কীভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেইনফরেস্টের মধ্যে থাকা তাদের অংশ ব্যাবস্থাপনা করছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। আফ্রিকার কথিত ফুসফুসগুলো আমাজনের তুলনায় হেক্টর প্রতি বেশি কার্বন সঞ্চয় করে। এগুলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শুষ্ক সাহেল এবং দূরবর্তী ইথিওপীয় উচ্চভূমিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটাতে সহায়তা করে।
এর আগে, ম্যাক্রোঁ গ্যাবন এর রাজধানীর উপকণ্ঠে একটি রেইনফরেস্ট পরিদর্শন করেন।সেখানে তিনি গাছের নিচে পায়চারী করেন এবং সেখান থেকে একটি বাদাম গাছের চারা সংগ্রহ করেন। ম্যাক্রোঁ বলেন, তিনি আফ্রিকা সফরের সময় রাজনীতি এড়িয়ে যেতে চান। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি প্রথম অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্র সফর করছেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে, গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গো, সম্মেলনের ফলাফল এবং পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।