তুরস্কের আদালত ‘ডিসইনফরমেশন’ আইনের অধীনে সাংবাদিককে কারাদণ্ড দিয়েছে

২০২২ সালের ২১ মার্চ এক ব্যক্তি ইস্তাম্বুলের ক্যাগ্লায়ান জাস্টিস প্যালেস কোর্ট হাউসের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার তুরস্কের একটি আদালত বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে এক সাংবাদিককে ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। নতুন একটি আইনের অধীনে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সমালোচকরা বলেন, আইনটি বাক স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। আইনটির অধীনে এই প্রথম কাউকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

দেশটির সংসদ একটি “ডিসইনফরমেশন আইন” পাস করার চার মাস পরে আদালত এই রায় দেয়। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন একে পার্টি বলেছিল, এই আইন জনসাধারণকে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিস্তার থেকে রক্ষা করবে।

পূর্ব তুরস্কের বিটলিস প্রদেশের একজন সাংবাদিক সিনান আয়গুলকে ডিসেম্বরের শুরুতে আটক করা হয়েছিল। তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে পুলিশ অফিসার এবং সেনাসহ পুরুষদের দ্বারা যৌন নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ করেছে।

তিনি পোস্টগুলো সরিয়ে নিয়েছিলেন এবং ঘটনাটি যাচাই না করে লেখার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু এরপরেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১০ দিন পরে তিনি এই প্রাক-বিচার গ্রেপ্তার থেকে মুক্তি পান।

মঙ্গলবার মামলার প্রথম শুনানিতে স্থানীয় আদালত তার রায়ে আয়গুলকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেয়। আদালতের নথি অনুসারে, তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছিলেন যা জনগণের মধ্যে ভীতি এবং আতংক সৃষ্টি করতে পারে।

রায়ের বিরুদ্ধে আয়গুল আপিল করতে পারবেন।

ডিসেম্বরে প্রকাশিত সিপিজে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের কারাবন্দী করার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তুরস্ক। তুরস্কে কারাগারে বন্দী সাংবাদিকের সংখ্যা ২০২১ সালে ছিল ১৮। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ৪০-এ দাঁড়িয়েছে। এই সংখ্যাটি ইরান, চীন এবং মিয়ানমারের পরে বিশ্বে সর্বোচ্চ।