অনিচ্ছা সত্ত্বেও আইএমএফের কঠোর শর্ত মেনে নিচ্ছে পাকিস্তান: শেহবাজ শরীফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জাতিসংঘের কপ-২৭ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বক্তাদের আলোচনা শুনছেন। ৮ নভেম্বর ২০২২, শার্ম এল-শেখ, মিসর। (ফাইল ফটো)

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ শুক্রবার জানান, অনিচ্ছা সত্ত্বেও, দেশের সংকটাপন্ন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া কঠোর শর্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে পাকিস্তান।শেহবাজ শরীফ ইসলামাবাদে অবস্থিত তার কার্যালয়ে দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় এ কথা বলেন। বৈঠকটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

শেহবাজ শরীফ বলেন, “চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য, আমাদেরকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও আইএমএফের কঠোর শর্তগুলো মেনে নিতে হচ্ছে”। তিনি আরো জানান, চুক্তি সাক্ষর হতে আরো “১ সপ্তাহ থেকে ১০ দিন” লাগতে পারে।

পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই আইএমএফের সঙ্গে দরকষাকষি করে যাচ্ছে।পাকিস্তান আইএমএফ-এর সঙ্গে একটি স্টাফ লেভেল চুক্তি সাক্ষরের আশা করছে।এই চুক্তি, অন্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে, পাকিস্তানের অর্থ পাওয়ার পথ সুগম করবে।চুক্তি সাক্ষরের পর, আইএমএফ ২০১৯ সালে সম্মতি দেওয়া ৬৫০ কোটি ডলার থেকে ১০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি অর্থ ছাড় করবে।

শর্ত পূরণে ইতোমধ্যে পাকিস্তান সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে; বাজার-ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হারের প্রচলন, জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, ভর্তুকি প্রত্যাহার এবং আর্থিক ঘাটতি মেটানোর জন্য আরও বেশি পরিমাণে কর আরোপ করে আয় বৃদ্ধি।এসব কঠোর উদ্যোগ, দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করতে এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাসে হয়তো তেমন প্রভাব ফেলবে না।গত জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির অর্থনীতি, দীর্ঘদিন ধরে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য, তাদের ব্যাপকভাবে দেশের বাইরে থেকে অর্থায়নের দরকার।পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে এখন ৩০০ কোটি ডলারের নেমে এসেছে।এর মাধ্যমে দেশটির মাত্র ৩ সপ্তাহের আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব।