প্রতিবেশী দেশগুলোতে বসবাসরত ২০ লাখের বেশি দক্ষিণ সুদানি শরণার্থীদের প্রতি স্বদেশে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সালভা কির। দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার সরকার প্রত্যাবর্তনকারী শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে।
কেনিয়া, উগান্ডা এবং মিশরের মতো প্রতিবেশি দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে, ২৩ লাখের বেশি দক্ষিণ সুদানের নাগরিক বসবাস করছে। বুধবার জুবায় বক্তব্য প্রদানকালে কির বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রয়েছে ঐ নাগরিকদের প্রত্যাবাসন।
কির প্রতিশ্রুতি দেন যে তার সরকার অভ্যন্তরীনভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের (আইডিপি) নিরাপত্তা দেবে। তবে তিনি এ কথা স্বীকার করেছেন যে, বর্তমান সুরক্ষিত এলাকা ছেড়ে আসার জন্য তাদের অনেক বোঝাতে হবে।
অনেক দক্ষিণ সুদানি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন ২০১৩ সালের গৃহযুদ্ধের ফলে। বিরোধী নেতা রিক মাচার ও কিরের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো।জাতীয় পার্লামেন্টের সদস্য জেমস ককও প্রেসিডেন্ট-এর বার্তার প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি ২০২৩ সালকে পুনর্মিলন, ক্ষমা এবং উন্নয়নের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীনভাবে বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনের আহ্বানকালে, কির দক্ষিণ সুদানের অব্যাহত রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কিছুই বলেননি। দেশটি এখনো ২০১৮ সালের শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ঐ শান্তিচুক্তি গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল। দেশটির কিছু অংশ এখনো সেই দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতাকে মোকাবেলা করছে।
২০১১ সালে সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে, দক্ষিণ সুদান কখনো পুরোপুরিভাবে শান্তির স্বাদ পায়নি।