যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নেটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে নেটোর পূর্বাঞ্চলীয় ৯টি দেশের জোট “বুখারেস্ট নাইন বা বি-নাইন”–এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
দেশগুলো হলো; বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া।
২০১৫ সালে রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইয়োহানিস ও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদার উদ্যোগে এই জোট গঠিত হয়। বাল্টিক ও কৃষ্ণ সাগরের মধ্যে জোটের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা উন্নত করার লক্ষকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে এবং নেটোর নতুন সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এটি করা হয়।
বাইডেন বি-৯ এর নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে প্রস্তুত। এই জোটের সদস্যরা স্নায়ুযুদ্ধের সময় রাশিয়ার প্রভাবের অধীনে থাকায় এই সামরিক জোটে যোগ দেয়। তারা এখন মস্কোর সম্প্রসারণের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে উদ্বেগের সাথে দেখছে।
জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি নেটোর অভিন্ন অঙ্গীকার নিয়ে কথা বলার অপেক্ষায় রয়েছেন, যা রক্ষার জন্য ইউক্রেন লড়াই করে চলেছে। পূর্ব দিকে আমাদের অনেক মিত্র যে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দিয়েছে, তাতে যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় নেটো শক্তিশালী হয়েছে”।
বুলগেরিয়া ও হাঙ্গেরি ছাড়া বি-৯ এর সদস্যরা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সমর্থন করছে।
মস্কোর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার অঙ্গীকার করা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না। তাঁর জায়গায় দেশটির প্রেসিডেন্ট কাটালিন নোভাককে প্রেরণ করেছেন। এদিকে বুলগেরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ তাঁর সরকারের যুদ্ধবিরোধী অবস্থান কঠোর করেছেন। তিনি অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে শক্তিশালী করার পশ্চিমা প্রচেষ্টার বিরোধিতা করছেন।
ইউক্রেন নিয়ে কিছু মতপার্থক্য সত্ত্বেও, বি-৯ নেতারা ১১ ও ১২ জুলাই লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে নেটো শীর্ষ সম্মেলনের জন্য একটি অভিন্ন অবস্থানের পথ প্রশস্ত করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।