তুরস্কে নতুন করে হওয়া ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় আন্টাকিয়ায় বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষ অতিক্রম করছেন এক ব্যক্তি। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।

তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে হওয়া ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে আটজনে দাঁড়িয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের প্রাণহানির দুই সপ্তাহ পর গত সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে আবার ভূমিকম্প হয়।

সোমবারের ভূমিকম্পটি ছিল ৬ দশমিক ৪ মাত্রার। এর কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের হাতায় প্রদেশের ডেফনে শহর। ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে ওই এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও মিসরসহ বেশ কয়েকটি দেশে নতুন এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। পরে আবার ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।

তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকার বাসিন্দা আহমেত কিলিচ ভয়েস অফ আমেরিকার তুর্কি সার্ভিসকে বলেন, “হঠাৎ ভবনটি কেঁপে ওঠে। আমি তৎক্ষণাৎ দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে রওনা দিই। ভবনটি ভয়ানকভাবে কেঁপে ওঠে। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক”।

তিনি বলেন, তিনি একা থাকেন বলে বাড়িতে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন।

উদ্ধারকর্মীরা হাতায় প্রদেশে বেশ কয়েকটি ধসে পড়া ভবনে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। সেখানে লোকজন আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে আলেপ্পোতে ছয়জন আহত হয়েছেন।

নতুন করে ভূমিকম্পের পর সোমবার জাতিসংঘের একটি বহর ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সিরিয়ার আল-রায়ে এলাকায় নতুন খোলা সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে রওনা হয়েছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, সিরিয়ায় প্রবেশের জন্য জাতিসংঘের জন্য এখন সম্পূর্ণরূপে তিনটি চালু সীমান্ত ক্রসিং রয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ এখন উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ২২৭টি ট্রাক পাঠিয়েছে এবং তিনটি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে আরও ট্রাক পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে তুরস্কে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সোমবার সকালে হাতায় প্রদেশ সফর করেন। তিনি বলেন, তার সরকার আগামী মাসে প্রদেশটিতে প্রায় দুই লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করবে।

সোমবার এরদোয়ান আঙ্কারা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ব্লিংকেন তার একদিন আগে তুরস্ক ও সিরিয়ার জন্য অতিরিক্ত ১০ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দেন।

ভয়েস অফ আমেরিকার তুর্কি সার্ভিস ও জাতিসংঘের সংবাদদাতা মার্গারেট বেশির এই প্রতিবেদন তৈরিতে অবদান রেখেছেন। এপি ও রয়টার্স থেকেও কিছু তথ্য নেওয়া হয়েছে।