ব্রিটেনে বসবাসরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গুরুতর হুমকির প্রতিবাদে সোমবার লন্ডনে ইরানের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে তলব করে ব্রিটিশ সরকার।
শনিবার ইরান সরকারের সমালোচক লন্ডনভিত্তিক একটি টেলিভিশন স্টেশন জানায়, ব্রিটেনে হুমকির মুখে থাকায় তারা তাদের লাইভ ব্রডকাস্টিং স্টুডিওগুলো যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নিচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এক বিবৃতিতে বলেন, “ব্রিটেন ভিত্তিক সাংবাদিকদের জীবনের প্রতি ইরানি সরকারের অব্যাহত হুমকিতে আমি মর্মাহত। আজ ইরানের প্রতিনিধিকে তলব করে স্পষ্ট করে দিয়েছি যে এটি সহ্য করা হবে না।“
পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইরানের ঐ কূটনীতিককে বলা হয়েছে, ব্রিটেন জীবন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি এ ধরনের হুমকি মেনে নেবে না।
এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইরানের তিন বিচারক, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর তিন সদস্য এবং দুই আঞ্চলিক গভর্নরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে, তারা হলেন মুসা আসিফ আল-হোসেইনি, হাদি মনসুরি এবং মোর্তেজা বারাতি। আইআরজিসি সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ তাঘি ওসানলু, পারভিজ আবসালান এবং আমানোল্লাহ গারশাসবি। আর গভর্নররা হলেন সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের মোহাম্মদ কারামি এবং সানন্দাজের হাসান আসগারি।
গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ হেফাজতে ইরানি কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্রিটেনও প্রায়শই সহিংস বিক্ষোভের তীব্র সমালোচনা করেছে।
তেহরান অভিযোগ করেছে, আমিনির মৃত্যুতে দেশব্যাপী যে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে পশ্চিমা শত্রুরা জড়িত।
পৃথক এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনহাট বলেন, ইরান থেকে আসা রাষ্ট্রীয় হুমকির বিষয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সরকারি পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত নভেম্বরে ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বলেন, ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অন্তত ১০ বার ব্রিটেনে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিক বা ব্যক্তিদের অপহরণ বা হত্যা করার চেষ্টা করেছে।