জান্তা শাসনের উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যহত রেখেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো

আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তরে এইউ-এর অ্যাসেম্বলির ৩৬তম সাধারণ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এক প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন, আফ্রিকান ইউনিয়নের (এউ) এর রাজনৈতিক বিষয়ক কমিশনার, ব্যাঙ্কোল আদেয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

অস্থিতিশীল সাহেল অঞ্চলে সামরিক বাহিনী শাসিত তিনটি দেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অব্যহত রেখেছে পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা। সেই সাথে, দেশ তিনটির এই আঞ্চলিক ব্লকে ফিরে আসার আশাকেও ভঙ্গ করেছেন তারা। রবিবার বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

২০২০ সালের পর থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা জান্তা নেতৃত্বাধীন মালি, গিনি এবং বুরকিনা ফাসোর ইকোনোমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) এর সদস্য পদ সমায়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

ইকোওয়াস নেতারা, আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়ন-এর শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি, নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করতে এবং দেশ তিনটিতে বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে মিলিত হন।

শনিবার স্বাক্ষরিত এবং রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ব্লকটি জানিয়েছে, "রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের কর্তৃপক্ষ ঐ তিনটি দেশের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা অব্যহত রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওই দেশগুলির সরকারী কর্মকর্তা এবং কিছু ঊর্ধ্বতন নেতার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইকোওয়াস।

দেশ তিনটি গত ফেব্রুয়ারিতে ইকোওয়াস এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকে, তাদেরওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছিলো।

২০২৪ সালের মধ্যে মালি ও বুরকিনা ফাসো এবং এর এক বছর পর গিনি, দ্রুত বেসামরিক শাসনে ফিরে আসার জন্য ইকোওয়াস-এর চাপের মধ্যে রয়েছে।

আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান মুসা ফাকি মাহামত শুক্রবার বলেছেন, সংস্থাটির শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবে যে এই তিনটি দেশ এবং সুদানকে আফ্রিকান ইউনিয়ন-এ যুক্ত করা হবে কিনা। তবে, বৈঠকের কোনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি এখনো।

শনিবার আফ্রিকান ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে, ফাকি বলেন, প্যান-আফ্রিকান ব্লককে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ মোকাবেলা করার জন্য নতুন কৌশলগুলো খতিয়ে দেখতে হবে।