মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ নিয়ন্ত্রিত ক্রাইমিয়া এবং রাশিয়ার স্থাপনায় রাশিয়া কমপক্ষে ৬ হাজার -সম্ভবত আরও বেশি- ইউক্রেনীয় শিশুকে আটকে রেখেছে। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য রাজনৈতিক পুনঃশিক্ষা বলে মনে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কমপক্ষে ৪৩টি ক্যাম্প এবং অন্যান্য স্থাপনা চিহ্নিত করেছেন যেখানে ইউক্রেনীয় শিশুদেরকে রাখা হয়েছে। স্থাপনাগুলো ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে মস্কো পরিচালিত একটি “ব্যাপক সংঘবদ্ধ নেটওয়ার্ক” এর অংশ ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুদের মধ্যে যাদের পিতা-মাতা বা স্পষ্ট পারিবারিক অভিভাবক রয়েছে, যাদেরকে রাশিয়া এতিম বলে দাবি করছে, যারা রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের যত্নে ছিল এবং যুদ্ধের কারণে যাদের হেফাজত অস্পষ্ট বা অনিশ্চিত ছিল তাদের সবাই এর অন্তর্ভুক্ত।
প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাসকে অনুরোধ করা হলে তারা সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
মস্কো ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এটিকে তারা “বিশেষ সামরিক অভিযান” বলে অভিহিত করেছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের জোরপূর্বক সরিয়ে নেয়ার যে অভিযোগ ছিল সেটিও তারা খারিজ করে দিয়েছে।
প্রতিবেদনটি পররাষ্ট্র মন্ত্রক-সমর্থিত প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইয়েল ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর মানবিক গবেষণা ল্যাব দ্বারা সর্বসাম্প্রতিক সময়ে সম্পন্ন করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের অধীনে রাশিয়া দ্বারা সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগসমূহের ওপর অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা বলেছেন, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ গঠনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিশুদের জোরপূর্বক নির্বাসনের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ১২ জনের ওপর এখনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।