মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভে কেঁপে ওঠা ইরান সরকারের সমালোচকদেরকে খুশি করার প্রয়াসে কয়েক ডজন সুপরিচিত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি নারী আমিনির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকে শীতের মাসগুলোতে সমাবেশের সংখ্যা এবং আকার হ্রাস পাওয়ায় এই সীমিত সাধারণ ক্ষমা প্রদান করা হয়।
নারীদের হিজাব এবং শালীন পোশাক পরিধানের নিয়ম লঙ্ঘন করার অভি্যোগে গ্রেপ্তারের পর তিনি মারা যান। এর ফলে কয়েক মাসব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। ইরান এটিকে বিদেশি উস্কানিতে হওয়া ‘দাঙ্গা’ হিসেবে অভিহিত করে।
বিক্ষোভে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন। হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।
তবে রাস্তার উত্তেজনা কিছুটা শান্ত হওয়ার সাথে সাথে ইরান সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হাই-প্রোফাইল বন্দিদের একটি দলকে মুক্তি দিয়েছে। কয়েক মাসের বিক্ষোভের পর এই পদক্ষেপকে উত্তেজনা হ্রাসের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সংস্কারবাদী সংবাদপত্র ইতেমাদ তাদের প্রথম পৃষ্ঠায় ৫০ জন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্বের ছবি প্রকাশ করে। অফিসিয়াল তালিকার অনুপস্থিতিতে এটিই মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকার সেরা ইঙ্গিত।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রাসউলফ, ফরাসি-ইরানি গবেষক ফারিবা আদেলখা, সক্রিয় কর্মী ফরহাদ মেসামি, সাবা কর্দাফশারি ও মোহাম্মদ হাবিবি এবং চিত্রগ্রাহক নওশিন জাফারি।
স্বনামধন্য পরিচালক জাফর পানাহিও কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছেন।
সাংবাদিক মাজিয়ার খোসরাভি বলেন, “আমার যতদূর মনে আছে, এই সাধারণ ক্ষমা সুযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব।” তিনি ২০০৯ সাল থেকে বেশ কয়েকবার কারাগারে ছিলেন এবং সর্বসাম্প্রতিক বিক্ষোভে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আটক ছিলেন।